বিকাশ সাহাঃ গণতন্ত্র রক্ষা-ঐক্য ও সংহতি রক্ষা, কাজের দাবী সহ মোট ১৫ দফা দাবীর ভিত্তিতে বিপিএমও- এর ডাকে এদিন শনিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে পদযাত্রা করলেন সিপিআইএমের পলিটব্যুরোর সদস্য তথা রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম।
কালিয়াগঞ্জে এসে এদিন সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই বামপন্থী গণসংগঠন গুলোর নেতৃত্বে শ্রমজীবী মানুষ, মেহনতী মানুষ, ছাত্র, যুব, মহিলা, কৃষক সবাই মিলে জাঠা করছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একই সঙ্গে কয়েকশ জাঠা চলছে। গতকাল নারায়ণগড়ে, আজ ময়ুরেশ্বরে এবং পিংলায় বামনেতা কর্মীদের উপর আক্রমন হয়েছে। গতকাল নারায়ণগড়ে বাম নেতার উপর আক্রমণের পরে আজও তৃনমূল কংগ্রেস বামনেতা কর্মীদের উপর আক্রমন চালাল। এটা তৃনমূল কংগ্রেসের শক্তির পরিচয় নয়। তারা মানুষের শক্তিকে ভয় পেয়েছে। তৃনমূল কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন “বদলা নয় বদল চাই”। তখনও আমরা দেখেছিলাম বিভিন্ন যায়গায় মাস্টারমশায়, অধ্যাপক, ভদ্রমহিলা, ভদ্রলোককে ধরে, এমনকি শ্রমজীবী মানুষকে কলকারখানায়, মাঠে ময়দানে, ক্ষেতে ওরা অপমান করেছে, পুলিশকে দিয়ে মিথ্যা মামলায় জরিয়েছে, আক্রমন করেছে, খুন করেছে এবং খুনের হুমকি দিয়েছে। আর মমতা ব্যানার্জী কম্যান্ড থেকে বলেছেন, তোমরা চুপ করে থাকবে। তার মানে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। “এরা গ্রাম দখল করতে এসেছে তাই এদের উপর আক্রমন হচ্ছে”, এমন কথা বলে আক্রমণের উপর মন্ত্রী নিজে সীলমোহর লাগাচ্ছেন। আর পুলিশ নিষ্ক্রিয় হিসেবে নির্বাক দর্শক হয়ে রয়েছে। আসলে আমাদের রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই, তাঁরই প্রতিবাদে আমাদের এই জাঠা। সুতরাং কারও উপর আক্রমন করলে জাঠা কমবে না। জাঠা আরও বাড়বে। মানুষের মিছিল আরও দীর্ঘায়িত হবে। বুলেট দিয়ে, গুলি দিয়ে, বন্দুক দিয়ে মানুষের উপর আক্রমন নামাতে পারে তৃনমূল কংগ্রেস, কিন্তু কখনও মানুষের শক্তিকে তা দিয়ে শেষ করা যায় না। মমতা ব্যানার্জী তিনি যখন চলে যাবেন, সেই সিবিআই- এর জাঁতাকলেই যান, বা মানুষের রোষানলেই যান, তখন দ্বারীয়ে রাজ্য গুন্ডা মুক্ত হবে। তৃনমূল থাকতে রাজ্যে গুণ্ডামী শেষ হবে না। যতক্ষণ গুণ্ডামী শেষ হবে না, মানুষের মিছিল চলবে। ভয় দেখিয়ে এই মিছিল রোকা যাবে না।
তৃনমূল থাকতে রাজ্যে গুণ্ডামী শেষ হবে না, বললেন মহম্মদ সেলিম
শনিবার,২১/১১/২০১৫
678