সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল থেকে বঞ্চিত বৃত্তি মুলক পাঠক্রমের ছাত্র ছাত্রীরা ঃ রায়গঞ্জ


বৃহস্পতিবার,১৯/১১/২০১৫
887

বিকাশ সাহাঃ    ২০১৬ বিধানসভা ভোটের আগে সবার মন পেতে দশম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সাইকেল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল বিলি শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু একই বিদ্যালয়ে সাধারণ বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের মতই ভোকেশনাল তথা বৃত্তি মূলক শিক্ষা পাঠক্রমে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশুনা করেও পাচ্ছে না এই সরকারী উপহার । এতে বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে হতাশার সঞ্চার হয়েছে। সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল থেকে বঞ্চিত বৃত্তি মুলক পাঠক্রমের ছাত্র ছাত্রীরা সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে তাদের দাবী পেশ করেছে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে। তাদের প্রশ্ন একই বিদ্যালয়ে একই শ্রেণীতে পড়াশুনা করেও সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা সাইকেল পাবে, অথচ তারা বৃত্তি মূলক বিভাগে পড়াশুনা করে কেন সাইকেলের মতো প্রয়োজনীয় উপহার থেকে বঞ্চিত হবে?
জেলা প্রশাসন সুত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলায় সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিলি করা হবে ৮৮ হাজার ৪৪২ টি সাইকেল। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুর জেলার বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিলির উদ্দেশ্যে ৫৭ হাজারের বেশি সাইকেল চলে এসেছে। পরবর্তীতে সময়ে আরও বেশ কিছু সাইকেল আসায় জেলায় বর্তমানে ৬০ হাজারের বেশি সাইকেল ইতিমধ্যেই চলে এসেছে।
বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্রী শর্মিলা নস্কর জানায়, সাধারণ বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা সাইকেল পাচ্ছে, অথচ একই শ্রেণীতে পড়াশুনা করেও আমরা সাইকেল পাচ্ছি না। এটা আমাদের কাছে দুঃখজনক ব্যাপার। আমাদের সামনে দিয়ে একই বিদ্যালয়ের আমাদের সহপাঠীরা সাইকেল নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসা করবে, অথচ আমরা বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্র ছাত্রী জন্য আমরা বঞ্চিত থাকবো কেন? আমরা চাই আমাদেরও সাইকেল দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার।
রায়গঞ্জ করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখার্জী জানান, বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের কাছে জানতে চাইছে তারা এই আওতার মধ্যে আছে কিনা। এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে যা খবর আছে তাতে, বৃত্তি মূলক বিভাগের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আমাদের কাছে কোনও নাম চাওয়া হয়নি। কাজেই তারা সাইকেল পাবে কি পাবেনা তা সম্পূর্ণ ভাবে যেখান থেকে সাইকেল বিতরণ হচ্ছে তারাই এই বিষয়ে বলতে পারবেন। সাধারণ বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সাথে বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরাও সাইকেল পেলে তারা উপকৃত হত।
রায়গঞ্জ দেবীনগর কৈলাস চন্দ্র বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ডঃ উৎপল দত্ত বলেন, আমাদের মত বিদ্যালয়ে, যেখানে বৃত্তি মূলক বিভাগে একাদক ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ছাত্র ছাত্রীরা পড়ে, তারা কোনও রকম সাইকেল পাচ্ছে না। বৃত্তি মূলক বিভাগের একাদক ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা আমাদের কাছে এসেছিল। কিন্তু তাদের হাতে সাইকেল দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারী কোনও অর্ডার নেই। মাধ্যমিক পাশ করে একই সঙ্গে একই বিদ্যালয়ে সাধারণ বিভাগে ও বৃত্তি মূলক বিভাগে যেসব ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়েছে, তাদের সমস্ত বিষয়ে একই রকম সুযোগ সুবিধা পাওয়া উচিত।
বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরাও যাতে সাইকেল হাতে পেতে পারে সে ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান উৎপল বাবু।
বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদের উত্তর দিনাজপুর জেলার নোডাল অফিসার পার্থ মিশ্র জানান, বৃত্তি মূলক বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের সাইকেল দেওয়ার ব্যাপারে সরকারী কোনও নির্দেশ নেই। আমরা এই ব্যাপারে কোনও নির্দেশ পেলেই সমস্ত বিদ্যালয় গুলিকে জানিয়ে দেব।DSCN8170

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট