ছট পূজা উপলক্ষে ঘাট বাঁধার কাজ চলছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়


শনিবার,১৪/১১/২০১৫
799

বিকাশ সাহাঃ    বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রধান উৎসব ছট পূজা। যদিও ছট পূজা এখন আর বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই পূজার প্রসার ছড়িয়েছে বাঙ্গালী সহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে। এই ছট পূজাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জের কুলিক নদীর দুই তীর সহ উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন ছোট বড়ো পুকুর ও নদীতে এদিন শনিবার সকাল থেকেই ঘাট তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে বাড়ির ছেলেরা নদী ও পুকুরের ধারের ঘাট পরিষ্কার করে মাটি দিয়ে ঘাট বাঁধতে শুরু করেছে। পুকুর ও নদীর ধারে বাঁশ পুঁতে মাটি দিয়ে ঘাট গুলি মুড়ে ফেলেছেন বাড়ির কর্তারা। মঙ্গলবার বিকেলে অস্তগামী সূর্য আরাধনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে ছট পূজা। বুধবার সকালে উদীয়মান সূর্য আরাধনার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই পূজা। ছট পূজাকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জের সাথে সাথে কালিয়াগঞ্জের শ্রীমতী নদী, করণদিঘী ব্লকের বুড়ি মহানন্দা নদী ও ইসলামপুর সহ সমস্ত ব্লকের নদী ও পুকুর গুলি মঙ্গলবার বিকেল থেকে রকমারি লাইটের আলোয় সেজে উঠবে। দীপাবলির ঢঙ্গে আলোকসজ্জায় নদী ও পুকুর গুলিতে যাবার রাস্তা সুসজ্জিত হয়ে উঠবে।
বাঙ্গালীর প্রধান উৎসব দুর্গা পূজার মতই বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের প্রধান উৎসব ছট পূজা। বর্তমানে ছট পূজা আর বিহারী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বাঙ্গালী, মারোয়াড়ী, নেপালি সম্প্রদায়ের মানুষরাও পরিবারের মঙ্গল কামনার জন্য ছট পূজা করেন। ছট পূজা মূলত সূর্য দেবের পূজা। হিন্দু শাস্ত্রে সূর্যকে সৃষ্টির দেবতা হিসেবে আরাধনা করা হয়। ভগবত , পুরাণ, রামায়ণ, মহাভারতের মতো বিভিন্ন গ্রন্থে সূর্যের উপাসনার উল্লেখ পাওয়া যায়। আর ভিন্ন মতে ছট হল ষষ্টির অপভ্রংশ। কার্তিক মাসের আমাবস্যার পড়ে ছট ব্রত পালন করা হয়। আরেক মতে সূর্য আর ষষ্টি হল ভাই বোন। সেই কারণেই ছটকে ছোট্টীমাইয়া বলা হয়। আবার অন্য আরেক মত অনুযায়ী সূর্য নিজে পূর্ণ লাভের আশায় সর্ব প্রথমে ষষ্টির পূজা করেছিলেন।
ছট পূজার বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বাড়িতে নিরামিষ খাওয়ার পাশাপাশি কঠিন নিয়ম ও নিষ্ঠা পালনের মধ্য দিয়ে ছট পূজা করা হয়।
রায়গঞ্জের বাসিন্দা শুভ গুপ্তা বলেন, ছট পূজার জন্য আগে থেকেই ঘাট পরিষ্কার করে রাখতে হয়, তা না হলে ঘাটে জায়গা পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। ঘাট গুলি মাটি দিয়ে সমান করে রাখতে হয়। যাতে পূজার আগের দিন বিকেলে ও পরের দিন সকালে ঘাটে এসে পূজার কুলা সাঁজাতে কোনও অসুবিধা না হয়।DSCN8170

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট