খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ অভিনেতা পীষূষ গঙ্গোপাধ্যায় এই ভাবে চলে যাবে কেউ ভাবতেও পারেনি টলিপাড়ার শিল্পীমহল। পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায়ের এমন অসময়ে চলে যাওয়ায় যেন আঁধার নেমেছে বাংলার সিনেমা ও থিয়েটার পরিবারে। এই তো সেদিনও মন্ডপে এসেছিলেন তিনি। এই তো দশমীর বৈঠকী আড্ডায় গান গাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কোথা থেকে কী যে হয়ে গেল, বিসর্জনের বাজনার তালে বলে, ‘আসছে বছর আবার হবে’। কিন্তু বাংলার শিল্পীমহল জানে, পীযূষের চলে যাওয়ার আর ফিরে আসা নেই। বছর আসবে, পুজো আসবে, পীযূষ আর আসবেন না। বিষাদে মোড়া তাই আজ বাংলার শিল্পীমহলের ।
‘প্রথম ফিল্মের প্রথম সিন থেকে পাশে ছিলে, এভাবে কেউ চলে যায় পীযূষদা?’, লিখেছেন বিষাদগ্রস্ত সৃজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর ‘অটোগ্রাফ’ ছবিতে নায়ক প্রসেনজিতের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন পীযূষ। অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়ও শোকগ্রস্ত। লিখেছেন, ‘ ভাল মানুষগুলো তাড়াতাড়ি চলে যায় কেন? তোমায় মিস করব পীযূষদা। আর তোমার মিস করব তোমার উৎসাহ দিয়ে আসা সেই ফোনকলগুলো। আর কিছু বলার নেই।’ সত্যিই যেন কথা সরছে না বাংলার শিল্পীদের মুখে। রাজ্যের বাইরে বসে এ খবর শুনে কয়েক মুহূর্ত নিশ্চুপ হয়ে গেলেন অভিনেতা বাদশা মৈত্র। কথা নেই পরিচালক রাজ চক্রবর্তীরও। লিখেছেন, ‘ বিশেষ কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। শুধু যেখানেই থেক ভাল থেক।’ অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু জানিয়েছেন, ‘ বিশ্বাস করতে পারছি না পীযূষ নেই। মিস করব ওকে।’ আপনজনকে হারিয়ে ফেলার এই অনুভূতিই আজ টলিগঞ্জের আনাচে কানাচে। পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘ পীযূষের এই চলে যাওয়ার খবরটা শুনে মন খারাপ লাগছে। ছবি আর নাটকে অভিনয় দেখে দারুণ লাগত। মানুষটা খুব ভাল ছিল।’
সেই দিলখোলা গান, সেই প্রাণবন্ত মানুষটাকে আর কখনও পাওয়া যাবে না এ যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না কেউ। কেউ হারিয়েছেন বন্ধুকে, কেউবা সহযোদ্ধাকে। কেউবা আবার দাদাকে। আপনজনের চলে যাওয়ার বিষাদ তাই পরিবারের সর্বত্র। গোটা শিল্পীমহল ।