প্রাচীন দুর্গা পুজো এখনও হয়ে চলেছে ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তে


শনিবার,১৭/১০/২০১৫
842

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ    গ্রামবাসীদের জমির মালিকানার কোনো সরকারি স্বীকৃতি আজও নেই । ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে এমন এক ভূখন্ডে মা মহামায়া রূপে পূজিতা হন দেবী দুর্গা। জলপাইগুড়ির কাছে দক্ষিন বেরুবাড়ির সাতকুড়ায় নাউতারি দেবত্তর মৌজায় মন্দিরের নাম ত্রিস্রোতা মহাপীঠ। এই মন্দিরে পূজিতা হন দেবী গর্ভেশ্বরী ও গর্তেশ্বরী। পুরনো বৈকুন্ঠপুর রাজবংশের নিত্য পূজিতা দেবী হন গর্ভেশ্বরী। একসময় হাতির পিঠে চেপে রাজারা পুজো দিতে যেতেন গর্ভেশ্বরী মন্দিরে। মন্দির কমিটির অন্যতম উদ্যক্তা হরিশ চন্দ্র রায় জানান, দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত দেবী গর্ভেশ্বরীর পাশে দেবী দুর্গার ঘট বসিয়ে পুজা করা হয়। দক্ষিন বেরুবাড়ির সাতকুড়ায় পাঙ্গা, যমুনা, ও করতোয়ার এই তিনটি নদীর মিলনস্থলকে বলা হয় ত্রিস্রোতা।এখানে দেবী সতীর আঙ্গুলিবিহীন বাঁ পা পড়েছিল।তাই ত্রিস্রোতা নদীর পাশে মন্দিরটি গড়ে উঠেছে বলে একে ত্রিস্রোতা মহাপীঠ বলা হয়। এই মন্দিরে পূজিতা মা গর্ভেশ্বরী ও গর্তেশ্বরীর মূর্তিটি কষ্টিপাথরের তৈরি। মন্দিরে রয়েছে সতীর ওঙ্গুলিবিহীন বাঁ পায়ের অংশ। দেবী গর্ভেশ্বরী এখানে চতুর্ভূজা। তিনি শঙ্খ, চক্র, গদা, ও পদ্মধারিণী। এক দাঁত ওয়ালা হাতির বা কাধেঁ দেবী সতীর বাঁ পা স্থাপিত রয়েছে। গনেশ এখানে শতদল পদ্মের ওপর নৃত্যের ভঙ্গিমায় রয়েছেন। সিদ্ধিদাতা গনেশের পায়ের তলায় ডান দিকে কালি এবং বাদিকে নরসিংহীর মূর্তি রয়েছে।অপরদিকে দেবী গর্তেশ্বরী দ্বিভূজা। অপরূপা সুন্দরী কষ্ঠীপাথরের মূর্তি। দেবীর গলায় পাথরের পুস্পমালা রয়েছে। বৈকুন্ঠপুরের সর্বশেষ রাজা প্রসন্নদেব রায়কতের মৃত্যুর পর মন্দিরটি অবহেলায় পরে ছিল। যদিও বর্তমান মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে পাকা মন্দির তৈরি করা হয়।দুর্গা পুজোর সময় বহু পর্যটক এখানে দেবী দর্শনে আসেন ও চা বাগানের মনোরম পরিবেশ দেখে আনন্দ পান।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট