কালিয়াগঞ্জে দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরিতে ব্যাস্ত প্রাণীসম্পদ দপ্তরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী


সোমবার,১২/১০/২০১৫
653

বিকাশ সাহাঃ    কোনও বাঁধাই শিল্পীর শিল্প চর্চার ক্ষেত্রে বাঁধা হয়ে থাকতে পারেনা। সে যদি হয় সময়ের বাঁধা, তাহলে কুছ পরোয়া নেহি। গোটা দিন সময় না পেলে রাত তো আছেই। তাই দিন রাত এক করে সময়ের বাঁধাকে উপেক্ষা করে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত শ্রীকলোনির বাসিন্দা প্রয়াত সঙ্গিত শিল্পী তারা চক্রবর্তীর পুত্র জয়ন্ত চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে গড়ে আসছেন দুর্গা প্রতিমা। স্কুলে পড়ার সময় প্রতিমা তৈরিতে হাতে খড়ি তাঁর। প্রথমে কাঁদা মাটির দিয়ে দুর্গা প্রতিমা তৈরি করে নিজ বাড়িতেই পূজোর আয়োজন করতেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সরকারী চাকরী পাবার পরেও তিনি নিজের খেয়ালে প্রতিমা তৈরির কাজ চালিয়ে গিয়েছেন। কালিয়াগঞ্জের বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্তব্যরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণীসম্পদ বিকাশ দপ্তরে কর্মী জয়ন্ত বাবু ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে প্রতিমা তৈরির কাজে হাত পাকিয়েছেন। পেশার টানে নয়, নেশার টানে ১০টা-৫টা অফিস ডিউটি সেরে পূজোর আগে রাত জেগে দুর্গার মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরিতে কোনও খামতি নেই তাঁর। এ বছর দেবী দুর্গার তিনটি মূর্তি বানিয়েছেন তিনি। হেমতাবাদের প্রতিবাদ ক্লাব, কালিয়াগঞ্জের ভবানী মন্দির ও একটি পারিবারিক পূজোর জন্য দেবী দুর্গার মূর্তি বানিয়েছেন জয়ন্ত বাবু। প্রতিমা তৈরির কাজে জয়ন্ত বাবুর স্ত্রী করবী দেবী, তাঁকে যথেষ্ট পরিমাণে সাহায্য করে থাকেন।
৫৪ বছর বয়সী মৃতশিল্পী জয়ন্ত বাবু বলেন, এক একটি দুর্গা প্রতিমা ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও প্রতিমা তৈরিতে আনুসাঙ্গিক জিনিসের দাম যে ভাবে বেড়েছে সেই অনুপাতে প্রতিমার দাম বাড়েনি। গোটা বছর অফিসের কাজ করার পর পূজোর আগে আলাদা স্বাদের টানে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ করতে গিয়ে আমার মনে হয় আমি অন্য জগতে আছি। যতদিন আমার শরীর সুস্থ থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমি মূর্তি গড়ার কাজ চালিয়ে যাব।DSCN8170

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট