ঘোষ বাড়ির পুজো ২০০ বছরের


মঙ্গলবার,২৯/০৯/২০১৫
718

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ   মালদার ঘোষ পরিবারের পুজো  পৌনে ২০০ বছরের । আকাশে বাতাসে এখন শারদিয়া উৎসবের আনন্দ উদ্ভাসিত। শিউলি ফুলের মৃদু গন্ধ মা উমার কথায় মনে করিয়ে দেয়।   আজ জানাবো মালদা জেলার ঘোষ বাড়ির পুজো  নিয়ে। মালদা জেলার প্রাচীন পুজো গুলির মধ্যে ঘোষবাড়ির পুজো রয়েছে সেই প্রাচীনত্বের ছোঁয়া। বাংলাদেশে রাজশাহী জেলার আত্রেয়ী গ্রামে থাক কালীন স্বপ্নাদেশ পেয়ে ১৮৩০ সালে এই পুজো করতে শুরু করেন মহেন্দ্রনাথ ঘোষ। এর পর মহেন্দ্র বাবুর ছেলে সুমন ঘোষ ৭১ সালের যুদ্ধের সময় ভারতবর্ষ অর্থাৎ মালদা জেলাতে এসে বসবাস শুরু করেন। এরপর পুজোর সময় বাংলাদেশে যেতেন স্বপরিবারে মিলে।পরিবারের সকলের সাথে মিলিত হওয়ার আনন্দই আলাদা। কিন্তু পুজোর পরম্পরা ধরে রাখতে ১৯৮০ সাল থেকে তিনি মালদা জেলার বিবেকানন্দ পল্লীতে বাড়িতেই একটি মন্দির তৈরি করে পুজো করতে শুরু করেন সুমন বাবু।এখনও নিয়ম মেনে মালদা ও রাজশাহী দুই জায়গাতেই এই পুজো হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালে সুমন বাবুর মৃত্যুর পর এই পুজোর হাল ধরেন সুমন ঘোষের ছেলে পার্থ ঘোষ। বর্তমানে তিনিই পুজো করে আসছেন। এই পরিবারের বর্তমান কর্ত্রী ফুলকুমারী ঘোষ বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত।তিনি বলেন,  এই পুজো প্রায় পৌনে ২০০ বছর ধরে চলে আসছে, বৈশাখ মাসে অক্ষয়তৃতীয়ার দিনে পাট পুজো করা হয়। এরপর সোজা রথে বোনা বাঁধা হয় ও উল্টো রথে মায়ের গায়ে মাটি দেওয়া হয়। মহালয়ার দিন মায়ের চক্ষু দান করা হয় পাশাপাশি মৃন্ময়ী মা উমাকে সাজানো হয়। ষষ্ঠীর দিনে আসনে তোলা হয় মাকে। ১৯৮২ সাল থেকে তুলশি পাল এই পুজোর প্রতিমা তৈরি করেন, বর্তমানে পুজোটি বড় আকার ধারন করেছে। মন্দিরের পরিসরও বৃদ্ধি পেয়েছে, পুজোকে কেন্দ্র করে দেশ বিদেশে থাকা আত্মীয়রাও চারদিনের জন্য বাড়িতে আসে। মায়ের ভোগের সমস্ত রান্না বাড়িতে ব্রাহ্মণ দিয়ে তৈরি করা হয়। ভোগের মিস্টিও তৈরি হয় বাড়িতে। এই বাড়ির পুজোতে ভোগের বিশেষত্ব হল যে এখানে সপ্তমীতে মাকে ভোগ দেওয়া হয় বিভিন্ন রকমের ফল বাতাসা ও কাঁচা সন্দেশ, অষ্টমীতে দেওয়া হয় গাওয়া ঘিয়ে ভাজা লুচি ও পাঁচ রকমের ভাজা। নবমীর দিনেও একই ভোগ দেওয়া হয় কিন্তু দশমীর দিনে মাকে বিদায় জানানো হয় পান্তা ভাত,নাল শাক ও জোরা রুই মাছ দিয়ে। এই বাড়ির দুর্গা প্রতিমায় কোন মহিষের মূর্তি থাকে না। এই পুজতে কেবল ঘোষ পরিবার নয় মালদা জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আসেন অংশ গ্রহণ করতে। পুরানো নিয়মাবলি রীতিনীতি মেনে মায়ের আরাধনা করা হয়ে থাকে। ( ছবিঃ প্রতীকী )।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট