খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় সহযোগিতা জোরদারের ব্যাপারে একমত হয়েছে।
গতরাতে ওয়াশিংটনে এক যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে, উভয় দেশ স্বীকার করেছে যে নিরাপদ ঘাঁটি থেকে পরিচালিত লস্কর-ই-তৈয়বার মত বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন দুই দেশের জন্যই হুমকি।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র আল কায়েদা ও এর সহযোগী সংগঠন, লস্কর-ই-তৈয়বা, জইস-ই-মোহাম্মদ, ডি কোম্পানি, হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছে, এসব সংগঠন দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা দুর্বল করে দেয়।
গতকাল ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরির যৌথ সভাপতিত্বে প্রথম ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত ও বাণিজ্যিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে উভয় দেশ পাকিস্তানের প্রতি আহবান জানিয়েছে। আজ এখানে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুই দেশ প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা, ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকার করেছে।
সুষমা স্বরাজ ভারতের পূর্বমুখী নীতি গ্রহণ ও এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারসাম্যের নীতির ওপর গুরুতারোপ করে বলেন, বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উভয় দেশ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ও মার্কিন উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ শুরুর ব্যাপারে একমত হয়েছে।
অল ইন্ডিয়া রেডিও’র খবরে বলা হয়েছে, এপেকে ভারতের সদস্যপদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ও নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপে ভারতের অন্তর্ভূক্তির জন্য মার্কিন সহায়তার ব্যাপারেও উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।
যৌথ ঘোষণায় আইসিএএনএন’র মত বিভিন্ন ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স গ্রুপে ভারতের ব্যাপক অংশগ্রহণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করার কথাও বলা হয়েছে।
উভয় দেশ চলতি বছরের শেষদিকে প্যারিসে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু পরিবর্তন বৈঠক কপ-২১ এর প্রস্তুতির জন্য ঘনিষ্ট পরামর্শের বিষয়েও একমত হয়েছে।