বিকাশ সাহাঃ ১০ মাসে টাকা ডবোল। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে চলছে ১০ মাসে টাকা ডবোল করার প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতা থেকে বাদ নেই মহিলারাও। তাঁরাও বহাল তবিয়তে দাদাগিরির সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন এই অবৈধ কারবার। কালিয়াগঞ্জ শহরের কিছু সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত। সাধারণ মানুষের অর্থাভাবের সুযোগ নিয়ে সর্তসাপেক্ষে আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কালিয়াগঞ্জ শহরের বেশ কিছু স্বার্থান্বেষী পুরুষ ও মহিলা, যার মধ্যে রয়েছেন গৃহবধূরাও। এরপরেই চলতে থাকে চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের হার। প্রতিমাসে ১০ শতাংশ হারে অর্থাৎ বছরে ১২০ শতাংশ হারে সুদের উপর চলে এই অবৈধ ব্যবসার রমরমা। কেউ যদি ১০ হাজার টাকা ধার হিসেবে নেয় তাহলে তাকে প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা সুদ দিতে হয়ে। আবার ১ লক্ষ টাকা ধার নিলে ১০ হাজার টাকা প্রতিমাসে সুদ গুনতে হয়। যা ১০ হাজার টাকার ১ বছরের সুদ সহ আসল গিয়ে দ্বারায় ২২০০০ টাকা, ১ লক্ষ থাকার ১ বছরের সুদ সহ আসল হয় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। শুধু তাই নয় কোনও মাসে সুদ দিতে না পারলে তা আসল টাকার সঙ্গে যোগ হয়ে সুদের টাকার উপর আবার চলে ১০ শতাংশ হারে সুদ। সুদের টাকা না দিতে পারলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার মতো অভিযোগও উঠেছে। সেই সঙ্গে যেসব মহিলারা এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা সুদের টাকা না পেলে শ্লীলতাহানী বা ধর্ষণের মতো কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দিতে পিছুপা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ। যদিও লোকলজ্জার ভয়ে ও এই অবৈধ কারবারীর চোখরাঙ্গানীর চাপে পরে এনিয়ে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে সাহস পাচ্ছেনা। মাসে ১০ শতাংশ অর্থাৎ বছরে ১২০ শতাংশ হারে সুদের রমরমায় উদ্বিগ্ন কালিয়াগঞ্জের শুভবুদ্ধি সম্পূর্ণ মানুষ। অবৈধভাবে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাওয়া এই সুদখোরের দলকে নির্মূলে নিপাত করতে না পারলে কালিয়াগঞ্জের যুব সমাজ আরও ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে ধারণা শুভবুদ্ধি মানুষের। আগামীতে এই অবৈধ ভাবে চালিয়ে যাওয়া সুদখোরের নাম সহ ছবি প্রকাশ করা হবে। চলবে………………… । ছবিঃ প্রতিকী।
১০ মাসে টাকা ডবোল। অবৈধ সুদের কারবার রমরমিয়ে চলছে কালিয়াগঞ্জে
বুধবার,২৩/০৯/২০১৫
756