বিকাশ সাহাঃ উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএমের লোকেরা মানুষকে বোকা বানিয়ে রেখেছে, উত্তর দিনাজপুর জেলায় এসে কর্মী সভায় একথা বললেন জেলার দায়িত্বে থাকা শুভেন্দু অধিকারী। প্রত্যাশা মতই এদিন কালিয়াগঞ্জে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলার বসন্ত রায় ও বিজেপি কাউন্সিলার অমিত দেবগুপ্ত তৃনমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এদিন শুক্রবার সকাল ১০ টার পর হেমতাবাদ বিধানসভা নিয়ে রায়গঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত মহারাজা হাটে ও বিকেল ৪ টায় কালিয়াগঞ্জের হাসপাতাল পাড়ার রানিং বুলেট ময়দানে কর্মী সভা করেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। এদিন হেমতাবাদ ও কালিয়াগঞ্জে কর্মী সভা কার্যত জনসভায় পরিণত হয়ে গেল। শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও এদিনের কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা পরিষদীয় সচিব অমল আচার্য, তৃনমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি আলেমা নুরী, মহিলা তৃনমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কেয়া চৌধুরী, তৃনমূল কংগ্রেসের মালদা জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন সহ প্রমুখ।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন কর্মী সভায় বলেন, উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএমের লোকেরা মানুষকে বোকা বানিয়ে রেখেছে। উন্নয়নের প্রশ্নে আপনারা জাগুন। জেলা পরিষদে কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে এসে জেলা পরিষদ তৃনমূল কংগ্রেসের হাতে এসেছে। আগামী ২৬শে নভেম্বর ৬ মাস পূরণ হয়ে যাবার পরে কালিয়াগঞ্জ পৌরসভাতেও পরিবর্তন ঘটবে। জেলায় তৃনমূল কংগ্রেসের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। কংগ্রেস, বিজেপি ও সিপিএমের নেতারা টিভির পর্দায় একই রকম কথা বলছেন। এদের কথার মধ্যে কোনও তফাৎ নেই। কংগ্রেস ১৮ তারিখে বন্ধ ডাকল, আবার সিপিএম ২ তারিখে বন্ধ ডাকল। সিপিএমের পক্ষ থেকে পকেটে পাথর নিয়ে নবান্ন অভিযান করছে। তার কয়েকদিন পরে অধীর বাবু নবান্ন অভিযানের নামে ধর্মতলায় মাঝ রাস্তায় বসে চিৎকার করছেন। অর্থাৎ সব গটাপ গেম, মাচ ফিক্সিং। কালিয়াগঞ্জ পৌরসভায় দুর্নীতিগ্রস্থ চেয়ারম্যান গত পৌরসভা নির্বাচনে সিপিএম ও বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করেছিলেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি, এর পেছনে অন্ধকারের হাত কাজ করেছে।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় কংগ্রেস ও সিপিএমের লোকেরা মানুষকে বোকা বানিয়ে রেখেছে :- শুভেন্দু অধিকারী
শুক্রবার,১১/০৯/২০১৫
633