আবার পাকিস্তানে দুই সাংবাদিক -কে খুন করা হলো !


শুক্রবার,১১/০৯/২০১৫
626

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ   পাকিস্তানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যা করা হয়েছে দু’ সাংবাদিককে। একজনকে গুলি করে আহত করা হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় সাংবাদিকদের অধিকার বিষয়ক সংগঠন দ্য কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে।

সিপিজে’র এশিয়া প্রোগ্রাম সমন্বয়ক বব ডিয়েটজ বলেন, ঢিলেঢালা তদন্ত ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহের যথাযথ অনুসন্ধান না হওয়ার কারণে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ব্যাখ্যা মেলে নি। মেলে না বিচারও। পাকিস্তান সরকারের কাছ থেকে আরও ভালো সুরক্ষা পাবার অধিকার রাখেন সাংবাদিকরা।

সাম্প্রতিক হামলার ঘটনাসমূহ শুধু সাংবাদিকদের বিপদের বিষয়টিই তুলে ধরছে না বরং তাদের সুরক্ষার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের অক্ষমতাও প্রকাশ করে।

উল্লেখ্য, করাচিতে ২ বন্দুকধারীর গুলিতে জিও নিউজের সাবেক বিজনেস প্রতিবেদন আফতাব আলম নিহত হয়েছেন ৯ই সেপ্টেম্বর। ওইদিনই এর আগে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিও নিউজের সম্প্রচারে ব্যবহৃত ভ্যানের ওপর বন্দুকধারীরা হামলা চালালে এক টেকনেশিয়ান নিহত হন। এছাড়া রাষ্ট্র মালিকানাধীন পাকিস্তান টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুল আজমকে খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশের রাজধানী পেশওয়ারে তিনটি গুলি করা হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ঘটে এ ঘটনাগুলো। আবদুল আজম বেঁচে গেলেও রয়েছেন হাসপাতালেই।

তার পেশার সঙ্গে হামলার যোগসূত্র রয়েছে কিনা, তা তাৎক্ষণিক ভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, পেশোয়ারে কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিভিন্ন শাখার আধিপত্য রয়েছে।  ওদিকে করাচিতে আফতাব আলমের ওপর হামলার বিষয়টিও পরিষ্কার নয়।

পুলিশ কর্মকর্তা ফিরোজ শাহ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আফতাব ঘর থেকে বের হওয়ামাত্রই মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি তার ওপর গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্যু হয়। অসুস্থতার কারণে প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি জিও নিউজের কাজ থেকে বিরত ছিলেন।

অপরদিকে টেলিভিশনের সম্প্রচার ভ্যানের ওপর হামলার বিষয়ে জিও নিউজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আজহার আব্বাস বলেন, এ হামলার পেছনে মূল উদ্দেশ্য পুলিশকেই নির্ধারন করতে হবে। হামলাকে জিও নিউজ ও মুক্ত গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যমূলক হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। একই সঙ্গে আমরা পুলিশ ও অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ওপর নির্ভর করছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে, এসব হামলার দ্রুত স্বচ্ছ  তদন্ত হবে। আমরা আশা করছি তারা হামলাকারী ও পরিকল্পনাকারীদের বিচারের আওতায় আনবে।

গত বছর মার্চে সিপিজে’র প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, গণমাধ্যমের ওপর সহিংসতার বিষয়টি মোকাবিলা করা হবে। এ জন্য একটি যৌথ কমিশন গঠন করা হবে, যাতে করে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করা যায়। কিন্তু তার প্রতিশ্রুতির পর এখন পর্যন্ত সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় কাউকে সাজা দেয়া হয়নি।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট