বিকাশ সাহাঃ রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অনিল ভুঁইমালীর পৌরোহিত্যে বৈঠক চলাকালীন দুই অধ্যাপকের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠলো। বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রের খবর, গত ৩রা সেপ্টেম্বর ছাত্র পরিষদ ও তৃনমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে গণ্ডগোলের জেরে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে গুলি ও বোমাবাজির মতো ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার জেরে তিন দিন ধরে বন্ধ ছিল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়। তিন দিন পর এদিন সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সেই ঘটনার পর্যালোচনার জন্য উপাচার্য অনিল ভুঁইমালীর পৌরোহিত্যে মিটিং শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে মিটিং চলাকালীন গনিত বিভাগের অধ্যাপক অশোক দাস ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক দেবাশীষ বিশ্বাসের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। যা হাতাহাতি পর্যন্ত গড়ায় বলে অভিযোগ। অধ্যাপকদের এমন আচরণে মিটিং ছেড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসেন উপাচার্য।
গনিত বিভাগের অধ্যাপক অশোক দাস বলেন, আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিভাবে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছিল। মিটিং ভেস্তে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে দেবাশীষ বিশ্বাস জোর গলায় কথা বলার পাশাপাশি আমার দিকে তেড়ে আসে।
দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, অশোক বাবু অভিযোগ করতেই পারেন! উপাচার্যের সামনেই সব ঘটেছে। এব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
মিটিং এ অধ্যাপকদের মধ্যে হাতাহাতির কথা স্বীকার না করলেও গণ্ডগোল যে একটা হয়েছে তা স্বীকার করে নেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অনিল ভুঁইমালী। তিনি বলেন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর জেলা শাসক রণধীর কুমারের উপস্থিতিতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে সমস্যার সমাধানের বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
অধ্যাপকদের মধ্যে হাতাহাতি রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে
সোমবার,০৭/০৯/২০১৫
581