প্রশান্ত কুন্ডু, ঢাকা, ( বাংলাদেশ)ঃ
প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে শিশু কিশোর
নির্যাতনের ঘটনা। অনেক সময় ঘটনাগুলো থেকে যাচ্ছে
লোকচক্ষুর আড়ালে। ধামাচাপা দিতে চলছে প্রকাশ্য হুমকি এমনকি
রয়েছে প্রশাসনের নিরবতার অভিযোগও। চলতি সময়ে এমন ৩টি
পাশবিক নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু প্রশাসনের
নিরবতাকে কাজে লাগিয়ে অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে লোকচক্ষুর
আড়ালে।
এক. অপরাধীর হদিস নেই। অথচ মিথ্যা অপবাদে গাছের সাথে
বেঁধে রাখা হয়েছে নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে। পাবনা
থেকে চাচার বাড়ি রাজবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শ্লীলতাহানির
শিকার হয় কিশোরীটি। চাচির যোগ সাজসে এলাকার এক
বখাটের নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। মেয়েটি প্রতিবাদ
করায় কপালে জোটে মারধর। এমনকি তার চরিত্রে দেয়া হয় অপবাদ।
তারপর পাগল সাজিয়ে বেঁধে রাখা হয় গাছের সাথে। অথচ অপরাধী
ঘুরে বেড়াচ্ছে গ্রামেই। পরবর্তীতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে নেয়া
হয় থানা হেফাজতে। আটক হয় চাচা-চাচি।
দুই. বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনা
ঘটেছে ঠাকুরগাঁওয়ে। পরে মেয়েটিকে ভর্তি করা হয় জেলা সদর
হাসপাতালে। এ ঘটনায় মামলার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত মান্নান
ও তার বন্ধু। মামলাটি তুলে নিতে ভূক্তভোগী পরিবারকে হুমকি দেয়া
হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
তিন. চুয়াডাঙ্গায় কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে গিয়ে
নির্যাতনের শিকার মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তসত্ত্বা বলে
মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে। যদিও এরইমধ্যে আটক হয়েছে
ভ- কবিরাজ। সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে হয়েছে মানবন্ধনসহ
অনেক বিক্ষোভ মিছিল। উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিলেন পুলিশ
কর্মকর্তারাও। কিন্তু সেই উপযুক্ত শাস্তি অধরাই রয়ে গেছে। সারা
দেশে অহরহ শিশু নির্যাতনের এমন ঘটনা ঘটলেও আইনের প্রয়োগ
খুব কম। আর তাইতো অপরাধীরা পাড় পেয়ে যাচ্ছে অনায়াসেই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব বিষয়ে প্রশাসন দ্রুত কঠোর না হলে
দিন দিন পাশাবিক নির্যাতন বেড়েই যাবে। ভবিষ্যত নষ্ট হবে
হাজারো শিশুর।