বিকাশ সাহাঃ রাজ্যের একদিকে যখন অধিক বৃষ্টির ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক অপরদিকে উত্তর দিনাজপুর জেলায় স্বল্প বৃষ্টি ও প্রখর রোদ্রে হিমশিম খাচ্ছেন মানুষ। গরমের হাত থেকে বাঁচতে জেলায় চাহিদা বাড়ছে হাত পাখার। গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন ও বিজলী পাখার বাড়বাড়ন্তে, সময়ের সঙ্গে তাল মিলাতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসা হাত পাখার চাহিদা বাড়ায় খুশি হাত পাখা কারিগররা। বংশপরম্পরায় হাত পাখা তৈরী করে জীবিকা নির্বাহকারী কালিয়াগঞ্জের ধনকৈল পঞ্চায়েতের চামারকালী গ্রামের এক দম্পতি রামপ্রসাদ দাস (৫৭) ও দীপালি দাস (৪৬) চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে হাত পাখা তৈরী করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। প্রতিটি পাখা খুচরো ২৫ থেকে ৩০ টাকায় ও পাইকারী হিসেবে ১৩ টাকা করে বিক্রি করেন তাঁরা। দুজনে প্রতিদিন গড়ে ১২ টি পাখা তৈরী করেন। অধিক গরমে হাত পাখার চাহিদা বাড়ায় বাড়তি লাভের আসায় দিনরাত এক করে পাখা তৈরীতে নাওয়া খাওয়ার সময় পাচ্ছেন না তাঁরা।
পারিবারিক এই পেশায় যুক্ত থাকলেও এতে আর সংসার চলে না, তা কোনও রকম রাগঢাক না করেই বলে ফেললেন দাস দম্পতি। গ্রামগঞ্জে দিন দিন তাল গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তাল পাতা সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেই সঙ্গে বাঁশের দাম বেড়ে গিয়েছে। ফলে লাভের পরিমাণও অনেক কমেছে। দাস দম্পতি বলেন, গরমের সময় টেনেটুনে তিন মাস হাত পাখা তৈরি করে সংসার চললেও বাকি নয় মাস অন্যের জমিতে কাজ করে ও অনুষ্ঠান বাড়িতে রান্না করে সংসার চালাতে হয়।
অধিক গরমে হাত পাখার চাহিদা বেড়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়
রবিবার,০২/০৮/২০১৫
868