খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ ‘কোমেন’ পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। তার জেরে কলকাতা সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। গতকাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে কলকাতা ও শহরতলিতে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৩৩.৬ মিলিমিটার। পুরসভা সূত্রে খবর, গতকাল রাত ১০টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত মানিকতলায় ১১৮.২, বেলগাছিয়ায় ৮৯, উল্টোডাঙায় ১১১, তপসিয়ায় ৯২, চেতলায় ৭৯, যোধপুর পার্কে ৭৯, কালীঘাটে ৬০.২, জিনজিরাবাজারে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, নদিয়া, হুগলি, বর্ধমানের বেশ কয়েকটি এলাকায়।
রাতভর বৃষ্টিতে জল জমেছে গিরিশ পার্ক, ঠনঠনিয়া, কলেজস্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এলাকায়। রাস্তায় গাছ পড়ে রানি রাসমনি রোডের একাংশে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। নাগের বাজার, বাগুইআটি এলাকাও জলের তলায়। তিলজলা, পিকনিক গার্ডেন সহ একাধিক এলাকায় জল জমেছে। জলমগ্ন এজেসি বোস রোড, আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স। টালিগঞ্জ, নেতাজিনগর, বাঁশদ্রোণী, হরিদেবপুর, গড়িয়া রথতলা এলাকাতেও জল জমেছে। একটানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন তারাতলা, নিউ আলিপুর, বেহালার একাধিক এলাকা। ছোট গলির পাশাপাশি, বিভিন্ন এলাকার বড় রাস্তাতেও জল জমেছে।
এদিকে প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক এলাকা। বনগাঁ, বসিরহাট, গোবরা, গাইঘাটা, নিমতা, ব্যারাকপুরের বিভিন্ন এলাকায় জল জমেছে। নোয়াপাড়া, বরানগরের একাধিক এলাকা জলের তলায়। কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় অশোকনগর এলাকা। খোলা হয় ৪৫টি ত্রাণ শিবির। এরপর নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে ফের একবার বিপর্যস্ত উত্তর ২৪ পরগনা।
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হাওড়া। হাওড়া পুরসভার ৫০টির মধ্যে ২৫টি ওয়ার্ডে জল জমেছে। সালকিয়া, টিকিয়াপাড়া. ঘুসুড়ি, কোনা, বেলগাছিয়া এলাকায় কোথাও হাঁটু সমান, কোথাও কোমর সমান জল। জলমগ্ন টিকিয়াপাড়া কারশেড। পাম্প চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা করছে হাওড়া পুরসভা। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। হাওড়া স্টেশনের পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব শাখায় ট্রেন চলাচল মোটের ওপর স্বাভাবিক। তবে বৃষ্টির কারণে দেরিতে ছেড়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ফলকনমা এক্সপ্রেস ও ধৌলি এক্সপ্রেস।