সোনার অক্ষরে উজ্জ্বল মোহনবাগান


বুধবার,০৮/০৭/২০১৫
755

পৃথা চক্রবর্তীঃ দীর্ঘ তেরোটা বছর। অধরা ছিল আই লিগ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। তার শাপমুক্তি ঘটল মোহনবাগানের। সেই আধার রাত শেষ হতেই সবুজ মেরুন আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঁকি দিল। ভা জ্যোৎস্নায় উদ্বেল হয়ে উঠল মোহনবাগান। শাপমুক্তির আনন্দে আই লিগ চাম্পিয়ন মোহনবাগানের সমর্থকরা আত্নহারা দিশেহারা। শেষ ম্যাচে বেঙ্গালুরু এফ সি-র সঙ্গে ১-১ গোলে মোহনবাগান অমিমাংসিত করতেই বিজয় পতাকা আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হল। বঙ্গ সন্তান সঞ্জয় সেনের হাত ধরে এক ইতিহাস রচনা হল। সোনার অক্ষরে লেখা হল আই লিগ ফুটবলে ভারত সেরা মোহনবগান। স্বপ্নের ফেরিওয়ালা কোচ সঞ্জয় সেন প্রমাণ করে দিলেন আন্তরিকতা ও আত্নবিশ্বাসের জয় সবসময় কথা বলে।
বিদেশি কোচের আস্ফালনে সাফল্যের সিড়ি শক্ত হবে তা মেনে নেওয়া যায় না। এদৃশ্য এক অভাবনীয় প্রত্যেক্ষ যারা করেছেন তারা ভগবানের রাজপুত্র। সেই দৃশ্যকে একেবারে হৃদয় গেথে রেখেছেন। অপ্রত্যাশিত দৃশ্যপট বাংলার ফুটবলকে আরো রাঙিয়ে দিল। এতো শুধু মোহনবাগানের সাফল্য নয় – সারা ভারতের ঐতিহাসিক মুহূর্ত বাংলার সোনালী ফুটবলকে আরো উজ্জ্বল করল। ফুটবল জোয়ারে মোহনবাগানের বিজয়তরী তরতর করে শুধু ছুটে চলেছে তা নয় এক নতুন উন্মাদনার ঝড় তুলল বাংলার ফুটবলে। আবেগের বন্যায় মে মাসের শেষদিনের রাতটা ভেসে গিয়েছে। সেখানে কোন দলের রঙ নয় – শুধুই বাংলা। মোহনবাগানের জয় – আমাদের গর্ব। মোহনবাগানের জয় আমাদের – গৌরব। সেই প্রাণের পরশে সবাই একাকার। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। সাফল্যের বাহুবন্ধনে এগিয়ে আসা। রাতের ঝরনা ধারায় খুশির অকাল হোলি খেলা। সবুজ মেরুন আবিরে রাঙিয়ে দেওয়া পথে সফল বীর ফুটবলাররা যেন নায়ক। হোক না বেলো রেজ্জাকের গোলে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনা। তাঁরই সোনার ছোঁয়ায় প্রত্যাশিত গোলের প্রকাশ। শেষ মুহূর্তে খেলার চরিত্রে অন্য রঙ লেগে যায়। শেষ বাঁশি বাজতেই আই লিগ ফুটবলে নতুন ইতিহাস লেখা হল ভারত সেরা মোহনবাগান। তাইতো বড় গোলায় মোহনবাগানই বলতে পারে আমরা করবো জয়। পরম তৃপ্তির নাম মোহনবাগান।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট