খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে সামরিক জুন্টার ভেটো প্রয়োগের ক্ষমতাকে বেশিরভাগ এমপি মান্যতা দিলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যার অভাবে তা পাশ হল না সামরিক শক্তির অনুগত মায়ানমারের পার্লামেন্টে৷এই বিলের পক্ষে ভোট দেন সেখানকার সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি৷তবে বিল পাসের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭৫ শতাংশ ভোট৷যা সামরিক শক্তির পক্ষে যায়নি৷
মায়ানমারের সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ভোটাভুটির সময় পার্লামেন্টের দুই কক্ষের ৬৬৪ জন সদস্যের মধ্যে ৩৮৮ জন এই বিলের পক্ষে ভোট দেন৷যদিও বিল পাশের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৯৮ ভোটের৷ পার্লামেন্টের স্পিকার জানান, প্রয়োজনীয় ভোট না পাওয়ায় এই বিল কার্যকর হবে না৷
সামরিক শাসন থেকে মুক্তির লক্ষে ২০১১ সালে মায়ানমারে সীমিত পরিসরে সংস্কার শুরু হলেও এখনও সেখানকার পার্লামেন্টে সেনাবাহিনী এবং প্রাক্তন সেনা কর্তাদেরই আধিপত্য রয়েছে৷
চলতি বছরের শেষে সেদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা৷ এর আগে সংসদীয় কমিটি সংবিধানে সামান্য কিছু পরিবর্তনের সুপারিশ করে৷কিন্তু সেই সুপারিশগুলির অধিকাংশই বাতিল হয়ে গিয়েছে৷
মায়ানমারের আগামী সাধারণ নির্বাচনে আউং সান সুকির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বড়সড় জয় পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ ১৯৯০ সালের নির্বাচনে আউং সান সুকির দল ব্যাপকভাবে জয়লাভ করেছিল৷ কিন্তু সামরিক জুন্টা সেই নির্বাচনের ফলাফল অগ্রাহ্য করে৷
এবারেও আউং সান সুকিকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বঞ্চিত করার জন্য চেষ্টার কোনও কমতি নেই৷এক নতুন অজুহাত খাড়া করা হয়েছে সেখানে৷যেহেতু আউং সান সুকির দুই ছেলে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী, তাই তাঁদের তো বটেই, এমনকী তাঁদের মা, মায়ানমারের মুক্তিসূর্য আউং সান কন্যা সুকিকেও ‘ভিনদেশি’ তকমায় দাগানোর চেষ্টা চলছে৷আর এই অজুহাতেই তাঁকে ভোটে দাঁড়ানো থেকে বিরত করার চেষ্টা চলছে৷তারই একটি প্রয়াস ছিল সংবিধান সংশোধনের পদক্ষেপ৷