ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যেতে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা


মঙ্গলবার,২৩/০৬/২০১৫
624

বিকাশ সাহাঃ    ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার পাশ করেও অর্থের অভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যেতে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীরা। এদিন মঙ্গলবার দুপুরে কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিত দেববর্মা   ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার পাশ করা ছাত্র পলাশ চন্দ্র রায়ের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। হত দরিদ্র পড়িবারের জতিন ও পবিতা রায়ের ছেলে পলাশ তপশিলি মেধা তালিকায় ১৮৮ স্থানে রয়েছে। কিন্তু ডাক্তারি পড়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা জোগাড় করতে না পারায় আদেও ডাক্তারি পড়তে পারবে কিনা তা নিয়ে সংসয়ের মধ্যে ছিল পলাশের পড়িবার। এদিন ১০ হাজার টাকা হাতে পেয়ে পলাশের ডাক্তারি পড়ার ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার খানিকটা সমাধান হল। উল্লেখ্য উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হলদিবাড়ি এলাকায় রায়গঞ্জ বালুরঘাট গামী রাজ্য সড়কের ধারে পূর্তদপ্তরের এক চিলতে জমিতে টিনের একচালা ঘরে বাস পলাশের পড়িবারের। পলাশের বাবা মা দুজনেই স্থানীয় প্লাইমিলে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। পলাশও পড়াশুনার ফাঁকে  প্লাইমিলে বাবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অর্থ উপার্জনের আশায় শ্রমিকের কাজ চালিয়ে যেত। বাড়িতে নেই কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে ছোট থেকেই লন্ঠনের আলোয় ভরসা করে পড়াশুনা চালিয়েছে পলাশ। বাড়িতে কেরোসিন তেল না থাকলে প্লাই মিলের বৈদ্যুতিক আলোর নিচে বসে রাতজেগে পড়াশুনা করত সে। আর্থিক অনটনের মধ্যেও পলাশ মাধ্যমিকে ৬৪২ নম্বর পেয়েছে। কালিয়াগঞ্জ সরলা সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র পলাশ, উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছে ৪৬০ নম্বর। হতদরিদ্র পড়িবারের দুই ছেলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছেলে পলাশ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ১৮৮ নম্বর পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে  যেতে দেখে চিন্তিত ছিল পলাশের বাবা মা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা আজ যেভাবে পলাশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তাতে খুশি পলাশের পড়িবার। শুধুমাত্র অর্থের অভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যাওয়ার খবর  গত ১৫ই জুন সর্ব প্রথম আমাদের খবর ইন্ডিয়া অনলাইন ডট কমে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে জেলার বিভিন্ন সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষ পলাশের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের পথকে মসৃণ করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট