বিকাশ সাহাঃ গত ৪ ঠা জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জে এসে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা বিল লাগু হওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উত্তর দিনাজপুর জেলায় অত্যাধিক ধানের ফলন হচ্ছে তা স্বীকার করে নিয়ে তিনি ঘোষণা করেছিলেন ১৮ জুন থেকে ১৮ জুলাই উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রতিটি অঞ্চল জুড়ে একটি করে স্পেশাল প্যাডি প্রক্রিমেন্ট ক্যাম্প করা হবে। সেই নিয়ম মেনে কাজ শুরু হতেই সমস্যায় পড়েছেন হেমতাবাদের কৃষকরা। কৃষকদের অভিযোগ সরকারী সহায়ক মুল্যে কোথায় ধান কেনা হবে, কবে থেকে ধান কেনা হবে সেব্যাপারে খাদ্য দপ্তর থেকে কোনও পোস্টার দেওয়া বা মাইকিং করা হয়নি। এমনকি কৃষকদের জানানো পর্যন্ত হয়নি। হেমতাবাদের কৃষক মজিবুর রহমান বলেন, লোকমুখে সরকারী সহায়ক মুল্যে ধান কেনার খবর পেয়ে ভ্যানে ধান চাপিয়ে হেমতাবাদের থানা মাঠে আমরা অনেক কজন কৃষক এসেছিলাম। এলাকার আরও অনেক কৃষক বেলা ৯ টার সময় ধান নিয়ে আসে থানা মাঠে। বেলা গড়িয়ে গেলেও ধান কিনতে কোনও উদ্যোগ না দেখে জেলা খাদ্য দপ্তরের আধিকারিককে টেলিফোন মারফৎ বিষয়টি জানানো হয়। শেষে বেলা ২ নাগাত সরকারী সহায়ক মুল্যে ধান কেনা শুরু হয়। তিনি আরও বলেন, একে তো প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ তার উপর রমজান মাস। ফলে সকাল থেকে রোদ্রে দাঁড়িয়ে থাকায় ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।
হেমতাবাদে সরকারী সহায়ক মুল্যে ধান কেনা শুরু হতেই সমস্যায় পড়লেন কৃষকরা
শনিবার,২০/০৬/২০১৫
637