পাহাড়ের শীত প্রধান এলাকার অর্কিডের চাষ এখন রায়গঞ্জের ফ্লাট কালচারে


বুধবার,১৭/০৬/২০১৫
510

বিকাশ সাহাঃ    পাহাড়ের শীত প্রধান এলাকাতেই সাধারনত অর্কিডের চাষ দেখা যায় । সেখাকার শীতল আবহাওয়া অর্কিড চাষের পক্ষে খুবই উপযোগী। কিন্তু সমতল এলাকায় এই গাছ চাষে তেমন কোন নজির নেই। তাই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পাহাড়ের শীত প্রধান আবহাওয়ার অর্কিড চাষ করে রিতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের তুলশি তলার বাসিন্ধা অভিজিত সরকার। পেশায় চিত্রশিল্পী অভিজিত বাবু তার নিজ বাড়ির উঠান ও ছাদ মিলিয়ে মাত্র এক কাঠা জমিতে দেশ বিদেশের নানা প্রজাতির অর্কিড এনে চাষ করে তাতে রিতিমত ফুল ফুটাচ্ছেন। এক এক করে সংগ্রহের পর আজ তার বাগানে প্রায় ২৫০ টি প্রজাতির অর্কিড রয়েছে। তিনি ইনটারনেটের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিডের চারা দেখেন এবং তার উপর পড়াশুনা করে সেই গাছের লালান পালনের প্রদ্ধতি জেনে বহু মুল্যে অর্কিডের চারা কিনে আনেন।
যে সমস্ত অর্কিড পাহাড়ের শীত প্রধান আবহাওয়া ছাড়া সমতলের উষ্ণ আবহাওয়ায় বাঁচেনা সেই সকল অর্কিড চাষ করে অসাধ্য সাধন করেছেন অভিজিত বাবু। তার বাড়ির বাগানে খাঁটি পাহাড়ি জংলি অর্কিড থেকে শুরু করে উষ্ণ আবহাওয়ায় মানানসই হাইব্রিড অর্কিডও রয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রজাতি গুলি হল ক্যাটেলিয়া, ভ্যাণ্ডা, ড্রেনড্রোডিলাম, এরিডস, ফিলনোপসিস প্রভৃতি।
অর্কিডের ফুল যেমন দেখতে সুন্দর হয় তেমনি সাধারন ফুলের তুলনায় এই ফুল দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকার কারনে মানুষের পছন্দের তালিকায় দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে অর্কিড। রংবেরঙ্গের অর্কিডের ফুল বাগানের শোভা আরও বাড়িয়ে তোলে।
২০০৭ সালে নিজের বাড়ির ছাদে টবের মধ্যে কয়েকটি অর্কিড গাছ লাগিয়েছিলেন অভিজিত বাবু। সময়ের সাথে সাথে তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে আরও অনেক প্রজাতির অর্কিড এনে বাড়িতেই বড় করে তোলার চেষ্টায় সফল হন। শুধুমাত্র তিনি নিজের বাড়িতেই নয় পরিচিত মানুষদের এই অর্কিড চাষে উৎসাহিত করে থাকেন এবং তাদের বাড়িতে গিয়ে এই চাষের কৌশল হাতেনাতে শিখিয়ে দিয়ে আসেন।
অভিজিত বাবু জানান , ফ্লাট কালচার মানুষের মধ্যে যখন থেকে ঢুকে পড়েছে তখন থেকে মানুষের মাটির থেকে সম্পর্ক আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। আর এখন ইচ্ছে থাকলেও কোন ফুল গাছ মাটিতে লাগাতে পারছেননা ফুল প্রেমী মানুষেরা । ফলে বাধ্য হয়েই বহুতলের বারান্দায় কখনবা বারান্দার সিলিং এ টব ঝুলিয়ে তাতে সামান্য মাটি ,পাথর, ছোবরা, সামান্য সার দিয়ে ফুল গাছ লাগানোর শখ মেটাচ্ছেন। অর্কিডের ফুল দীর্ঘদিন স্থায়ী থাকার কারনে এই গাছের চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট