শুধুমাত্র অর্থের অভাবে শ্রমিক থেকে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যেতে বসেছে কালিয়াগঞ্জের এক কৃতি ছাত্রের


সোমবার,১৫/০৬/২০১৫
658

বিকাশ সাহাঃ    ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার পাশ করেও অর্থের অভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যেতে চলেছে পলাশের জীবনে। হত দরিদ্র পড়িবারের জতিন ও পবিতা রায়ের ছেলে পলাশ চন্দ্র রায় তপশিলি মেধা তালিকায় ১৮৮ স্থানে রয়েছে। কিন্তু ডাক্তারি পড়ার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা জোগাড় করতে না পারায় আদেও ডাক্তারি পড়তে পারবে কিনা তা নিয়ে সংসয়ের মধ্যে রয়েছে পলাশের পড়িবার। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের হলদিবাড়ি এলাকায় রায়গঞ্জ বালুরঘাট গামী রাজ্য সড়কের ধারে পূর্তদপ্তরের এক চিলতে জমিতে টিনের একচালা ঘরে বাস পলাশের পড়িবারের। পলাশের বাবা মা দুজনেই স্থানীয় প্লাইমিলে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। পলাশও পড়াশুনার ফাঁকে  প্লাইমিলে বাবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অর্থ উপার্জনের আশায় শ্রমিকের কাজ চালিয়ে যায়।    বাড়িতে নেই কোনও বিদ্যুৎ সংযোগ। ফলে ছোট থেকেই লন্ঠনের আলোয় ভরসা করে পড়াশুনা চালিয়েছে পলাশ। বাড়িতে কেরোসিন তেল না থাকলে প্লাই মিলের বৈদ্যুতিক আলোর নিচে বসে রাতজেগে পড়াশুনা করত সে। আর্থিক অনটনের মধ্যেও পলাশ মাধ্যমিকে ৬৪২ নম্বর পেয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পেয়েছে ৪৬০ নম্বর। হতদরিদ্র পড়িবারের দুই ছেলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছেলে পলাশ জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ১৮৮ নম্বর পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ভেস্তে যেতে যেতে দেখে চিন্তিত পলাশের বাবা মা। আগামী ১৬ ই জুন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধোপাধ্যায় দুই দিনাজপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন। এই খবর শুনে পড়িবারের সদস্যদের আবেদন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করলে ছেলের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং এ তপশিলি মেধা তালিকায় ২২১ স্থানে থাকলেও পলাশের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার। ডাক্তার হয়ে পলাশ গরীব মানুষের চিকিসার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করার কথা জানিয়েছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট