এবার লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক


বৃহস্পতিবার,০৪/০৬/২০১৫
558

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ    নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যুরহস্য ও তাঁর পরিবারের উপর জওহরলাল নেহেরু সরকার দীর্ঘ ২০ বছর নজরদারি চালিয়েছে বলে কিছুদিন আগেই ভারতের রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড় হয়েছিল।  বিমান দুর্ঘটনায় নয়, ১৯৮৫ সালে স্বাভাবিক মৃত্যু হয় নেতাজির! সেই বিতর্কের আগুন এখনও নিভে যায়নি। এর মধ্যেই ফের একবার নতুন করে বিতর্কে পড়তে পারে পূর্বতন কংগ্রেস সরকার। এবার বিতর্ক তৈরি হতে পারে জওহরলাল নেহেরুর মৃত্যুর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হওয়া লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে। নেতাজি সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল কলকাতার ‘গোপন সেলে’ বন্দী!  ঘটনা হল, পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ শেষ করতে ১৯৬৫ সালের ১০ জানুয়ারি জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় তাশখন্ড চুক্তি সাক্ষরিত হয়। তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আয়ুব খানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরিত হয়। ঐতিহাসিক শেষ যুদ্ধ শেষের ঠিক পরের দিনই মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর। জানা গিয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর। সেইসময় প্রধানমন্ত্রীর শরীরের কোনও ময়নাতদন্ত করা হয়নি। অন্যদিকে পরে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পুত্র সুনীল শাস্ত্রী পরে দাবি করেন, তিনি লালবাহাদুরের শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় নীলচে দাগ দেখেন। এছাড়াও পিতার শরীরের নিচের অংশে কাটার চিহ্নও ছিল বলে তিনি জানান। তবে দীর্ঘদিনের কংগ্রেস আমলে এই ঘটনা সেখানেই চাপা পড়ে যায়। এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৯৬৫-র পাকিস্তান যুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ পালনের জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিক্করকে নির্দেশ দিয়েছেন ব্রিটিশদের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ীই নেতাজির পরিবারের উপর গোপন নজরদারি চলেছিল : কর্নেল নিজামুদ্দি  ফলে অনুষ্ঠানের সময়ে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়েও বিতর্ক সভার আয়োজন করা হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট