বিকাশ সাহাঃ ধর্ষকের শাসানির জেরে আত্মঘাতী নাবালিকার বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথ নাথ রায়। রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাত আত্মঘাতী নাবালিকার পড়িবারের লোকের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানিক কথা বলেন মহম্মদ সেলিম। সেই সঙ্গে ঐ পড়িবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন তিনি। ওপরদিকে সোমবার সকাল সাড়ে এগারটা নাগাত আত্মঘাতী নাবালিকার বাড়িতে গিয়ে পড়িবারের সঙ্গে কথা বলেন কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক প্রমথ নাথ রায়। উল্লেখ্য ২০১৩ সালে ডিসেম্বর মাসে কালিয়াগঞ্জ থানায় ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের হয়। অভিযোগ, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বরের মাঝ রাতে প্রতিবেশী যুবক ধীমান সরকার, চুপিসারে ঘুমন্ত কিশোরীর ঘরে ঢুকে মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে বলপূর্বক ধর্ষণ করে। অন্যদের একথা জানালে ফল ভাল হবেনা বলে কিশোরীকে শাসানিও দিয়ে যায় ধীমান। কিশোরীর বাবা ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর কালিয়াগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধীমানকে ধরে ফেলে পুলিশ। হাজত বাসের পর সে বর্তমানে জামিনে মুক্ত ছিল। মৃত কিশোরীর কাকা বলেন, গত শনিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতে সেই মামলার সাক্ষ্য দিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য আদালত চত্বরে এক যায়গায় আমরা জড় হচ্ছিলাম। সেই সময় অভিযুক্ত তাঁর আইনজীবীর সামনেই আমার ভাইজিকে উলটোপালটা কথা বলে। ভাইজি চুপচাপ বাড়ি ফিরে এসে বিকেল ৩ টা নাগাত নিজের ঘরে গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বাঘন বটতলী এলাকার নবম শ্রেণীর ছাত্রী ঐ কিশোরীর দাদা শনিবার রাতেই কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এরপরথেকেই পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক মহলে তথপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
ধর্ষকের শাসানির জেরে আত্মঘাতী নাবালিকার বাড়ির লোকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, সাংসদ ও বিধায়ক
সোমবার,০১/০৬/২০১৫
631