খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে সাগরে নৌযানে ভাসতে থাকা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিম অভিবাসীদের জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার পৃথক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানায় তারা। এর আগে নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) দুর্গত অভিবাসীদের জায়গা দিতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতি তাগিদ দেয়।
অভিবাসী বোঝাই কয়েকটি নৌযান থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তাদের উপকূলে ভিড়তে দিচ্ছে না বলে খরর বের হয়। তারা খাবার, পানির অভাবে ভুগছেন।
এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে আন্দামান ও মাল্লাকা প্রণালীতে নৌযান ভাসতে থাকা হাজারো অভিবাসীর বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বেশ উদ্বিগ্ন। ওই সব অভিবাসী ও শরণার্থী বহনকারী নৌযানগুলো্ প্রবেশে কিছু দেশ বাধা দেওয়ার খবর তার (মহাসচিব) কাছে রয়েছে। সরকারগুলোর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, সাগরে উদ্ধারের বাধ্যবাধকতা যেন নিশ্চিত করা হয় এবং উদ্বাস্তুদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি যথাযথ আইনে যেন রক্ষা করা হয়।’
মুখপাত্র আরো বলেন, ‘তিনি (মহাসচিব) সরকারগুলোর প্রতি আরো আহ্বান জানিয়েছেন, (অভিবাসীদের) যথাসময়ে উপকূলে ভেড়ার সুযোগ দিতে হবে এবং সীমান্ত ও বন্দর উন্মুক্ত রেখে সেসব বিপন্ন লোকদের সহায়তা করতে হবে, যাদের এটা দরকার।’
এদিকে বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলিম অভিবাসীদের সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন এবং কংগ্রেসের কিছু সদস্য। এরই প্রেক্ষিতে সাগরে ভাসমান অভিবাসীরদের রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ রাথকে প্রেস বিফ্রিংয়ে বলেন, ‘এটা একটা আঞ্চলিক ইস্যু। তাৎক্ষণিকভাবে দরকার এর আঞ্চলিক সমাধান। তবে এ জন্য মেরিটাইম ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে বিশ্ব সম্প্রদায় আঞ্চলিক দেশগুলোকে সহয়তা করতে পারে। এ জন্য আমরা আক্রান্ত দেশগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করছি.