খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ ভূমিকম্প সে সব দুর্যোগের একটি, যার কথা আগে-ভাগে বলা যায় না। যদিও বলা হয়ে থাকে, ইঁদুর বা অন্য কিছু প্রাণীর প্রতিক্রিয়ায় এর পূর্বাভাস জানা যায়। তবে এমন ঘটনা সচরাচর ঘটে না। তাই ভূমিকম্পের জন্য দুই ধরনের সতর্কতা দরকার। একটা হল ভূমিকম্প প্রতিরোধী কৌশলে বাড়ি-ঘর নির্মাণ, বৈদ্যুতিক ও গ্যাস লাইন যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিবেশে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে এমন কাজ থেকে বিরত থাকা। অন্যদিকটি হল ভূমিকম্পকালে যা করা যায়। শনিবারের ভূমিকম্পে নিশ্চয় হতবুদ্ধিকর অবস্থায় পড়েছেন অনেকে। এমন হলে চলবে না, এ সময়ে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হবে। কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে ক্ষয়ক্ষতিও কম হবে। আমরা তেমন কিছু বিষয় জেনে নিতে পারি— ঘরে থাকলে যা করবেন ১. টেবিল বা অন্য কোনো আসবাবের নিচে শুয়ে পড়ুন। কম্পন না থামা পর্যন্ত বের হবেন না। যদি কাছাকাছি জায়গায় টেবিল বা ডেস্ক না থাকে, তবে মুখ ও মাথা বাহু দিয়ে ঢেকে ফেলুন এবং গুড়ি মেরে বসে থাকুন ঘরের এক কোণে। ২. ঘরের এক কোণে থাকা দরোজার চৌকাঠের নিচে আশ্রয় নিতে পারেন। ৩. কাঁচ জাতীয় যে কোনো কিছু যেমন— জানালা, দরজা, দেয়াল বা যা কিছু ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা আছে তা থেকে দূরে থাকুন। ৪. ভূমিকম্পের সময় যদি বিছানা থেকে নামার সময় না পান, তবে মাথা বালিশ দিয়ে ঢেকে রাখুন। নইলে উপর থেকে কিছু পড়লে মাথায় আঘাত পেতে পারেন। এ অবস্থায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাপদ কোথাও আশ্রয় নিন। ৫. যদি দ্রুত বের হয়ে যাওয়ার মতো কোনো দরোজা থাকে আশপাশে, তবে দ্রুত বের হয়ে যান। তবে হুড়োহুড়ির আশঙ্কা থাকলে কোনো আসবাবের নিচে থাকুন। সিঁড়ি ব্যবহার করুন, কোনোভাবেই লিফটে নামবেন না। যদি বাইরে থাকেন ১. আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াবেন না। বিল্ডিং, গাছ, স্ট্রিটলাইট ও বৈদ্যুতিক তার থেকে দূরে থাকুন। ২. কম্পন না থামা পর্যন্ত খোলা জায়গা ছেড়ে যাবেন না। ভূমিকম্পের পরপরই বিল্ডিং ধসে পড়ে, ভাঙ্গা কাঁচ বা অন্যান্য জিনিস উড়ে আসে। মুখ ঢেকে রাখুন। যদি চলন্ত গাড়িতে থাকেন ১. যতটা দ্রুত সম্ভব গাড়ি থামিয়ে ফেলুন। গাড়িতে থাকুন। বিল্ডিং, গাছ, ওভারপাস বা বৈদ্যুতিক তারের নিচে বা কাছাকাছি গাড়ি থামাবেন না। ২. ভূমিকম্পে রাস্তা, ব্রিজ বা ওভারপাস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সাবধানে চলুন। যদি কোথাও আটকা পড়েন ১. দিয়াশলাই জ্বালাবেন না। ২. নড়াচড়া করবেন না, ধুলো ঝাড়বেন না। ৩. রুমাল বা কোনো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। ৪. কাছাকাছি থাকা পাইপ বা দেওয়ালে টোকা দিন। এতে সাহায্যকর্মীরা টের পাবেন। কোনো উপায় না থাকলে চিৎকার করতে পারেন, তবে এতে ধুলো-বালির কারণে শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ৫. বিচার-বুদ্ধি সচল রাখুন। ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করুন। কোনো একটি উপায় মিলতেও পারে।
ভূমিকম্পের কিছু সাবধনতা
বৃহস্পতিবার,১৪/০৫/২০১৫
566