খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ এক সপ্তাহ পার হল নেপাল ভূমিকম্পের। গত সপ্তাহে এই সময়ে হাহাকার পড়ে গিয়েছিল নেপাল সহ সারা ভারতে। ভয়াবহ ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৭.৯। নেপালের ঘটনা ‘তুচ্ছ’, ‘গ্রেট হিমালয়ান ভূমিকম্প’ আসা এখনও বাকি, বলছেন বিজ্ঞানীরা কম্পনের তীব্রতা ছড়িয়ে পড়ে নেপাল সংলগ্ন ভারতের বিহার, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি, জয়পুর, লখনৌ, পাঞ্জাব, ওড়িশা সহ একাধিক রাজ্যে। প্রকৃতির ভয়ঙ্কর এই রোশের পরেও অবশ্য স্বস্তি মেলেনি। একেরপর এক আফটার শকে কেঁপে উঠেছে হিমালয়ের দেশ নেপাল সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। সেই ঘটনার বীভৎসতার পর ইতিমধ্যেই কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। মৃতের সংখ্যা আপাতত ৬৭০০ ছাড়িয়েছে। এটা কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। আহতের সংখ্য়া এই মুহূর্তে ১৪ হাজার ২৩ জন বলে সরকারিভাবে জানা গিয়েছে। এদিন নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র লক্ষ্মী প্রসাদ ধাকাল জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের যথাসাধ্য দিয়ে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছি। ধ্বংসস্তুপের নিচে আর কোথাও কেউ জীবিত চাপা পড়ে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।” অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ধ্বংসস্তুপের নিচে আর প্রাণের হদিশ পাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। ২০ টি দেশের উদ্ধারকারী দল মিলে এই এক সপ্তাহ ধরে নেপালে উদ্ধারকার্য চালিয়েছে। বহু মানুষকে জীবিত উদ্ধারও করা গিয়েছে। তবে গত এক-দু’দিনে সেই হার একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এখন শুধুই লাশের সারি পাওয়া যাচ্ছে ধ্বংসস্তুপের নিচে। সেই ঘটনাকে মাথায় রেখেই সরকারি মুখপাত্র এমনটা জানিয়েছেন।
নেপাল সরকার ঘোষণা করেছেন, ধ্বংসস্তুপের নিচে কেও জীবিত নেই ।
শনিবার,০২/০৫/২০১৫
783