খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে সংঘর্ষের খবর আসতে শুরু করল। বনধের সমর্থনে পথে নেমে একদিকে যেমন চলল ঢিল মেরে বাসের কাঁচ ভেঙে দেওয়া, ঠিক একইভাবে অবরোধকারীদের মেরে হটিয়ে দেওয়ার শাসক তৎপরতাও চোখে পড়ল। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বনধের দিন জনজীবন সচল রাখতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল শাসক দলের কাডারবাহিনীকে। দিকে দিকে বনধ বিরোধী মিছিল ও একইসঙ্গে বাইকে করে এলাকা প্রদক্ষিণ করা যাতে কোথাও ‘বনধ’ করতে না পারে বিরোধীরা। এদিন মোটের উপর উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে বনধের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। এছাড়া সারা রাজ্যের ক্ষেত্রে বনধের প্রভাব ছিল মিশ্র। এদিন শহরতলি ও নানা জেলার রাস্তায় সরকারি বাস থাকলেও তার সংখ্যা খুবই কম ছিল। বেসরকারি বাসও খুব একটা চোখে পড়েনি। হাওড়া, শিয়ালদহ স্টেশন ও দমদম বিমানবন্দরের বাইরে ট্যাক্সির দেখা মেলেনি। এর জেরে নাকাল হতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। এ দিন সকালে টালিগঞ্জ-কুঁদঘাট রুটের দু’টি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। হাওড়ার গোলাবাড়িতে তিনটি সরকারি বাস ভাঙচুর করে বনধ সমর্থনকারীরা। হাওড়াতেই ফোরশোর রোডে একটি মিনিবাস লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। কোনা বাসস্ট্যান্ডে মিনিবাস ভাঙচুর করা হয়। জেলাতেও আসানসোল, বসিরহাট, কৃষ্ণনগর, পানিহাটি, খড়গ্রাম, ঝাড়গ্রাম, কান্দি, ময়ূরেশ্বর সহ নানা জায়গায় বনধে কম-বেশি উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। এদিন নানা জায়গায় শাসক দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে অবরোধকারীদের উপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে দুই-একটি ঘটনা ছাড়া পূর্বরেলে আধিকারিক জানিয়েছেন মটামুটি ভাবে ট্রেন স্বাভাবিক ছিল।
বনধে কোথাও সারা মিলেছে, কোথাও মিশ্র প্রভাব পড়েছে
বৃহস্পতিবার,৩০/০৪/২০১৫
632