খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ শনিবার যে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটেছে তার ভয়াবহতা ঠাহর করতে হাড় হিম হয়ে আসছে আমজনতার। প্রকৃতির করাল বিভীষিকা ইতিমধ্যেই ৩২০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নেপাল, ভারত ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশ মিলিয়ে নিহতের সংখ্য়া ১০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। নেপাল ভূমিকম্প হেল্পলাইন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য , নেপাল ভূমিকম্প: ‘অপারেশন মৈত্রী’ আরও জোরদার করা হল শনিবারের ভূমিকম্পের পর গতকালও বেশ বড় ধরনের ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে নেপাল সহ ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। নেপালে সারা রাত জেগে রাস্তায় কাটিয়েছেন মানুষ। আর এসবের মাঝেই নয়া বিপদের বার্তা ভেসে এসেছে ভূবিজ্ঞানীদের তরফে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানী রজার বিলহ্যামকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল ৭.৯ রিখটার স্কেল মাত্রার যে ভূমিকম্প হয়েছে নেপালে তা প্রত্যাশিত ছিল না। অর্থাৎ তিনি বলতে চেয়েছেন, তাঁরা হিমালয়ের নিচের ভূতত্ত্ব নিয়ে যে গবেষণা করেছেন তাতে এই কম্পনকে বড় বলা যায় না। হিমালয়ান কম্পন হলে এর মাত্রা কোনওমতেই রিখটার স্কেলে ৮ এর কম হবে না বলেই দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে স্বদেশীয় তথা বাঙালি, খড়্গপুর আইআইটির বিজ্ঞানী শঙ্কর কুমার নাথ ভূমিকম্প নিয়ে আরও ভয়াবহতার কথা শুনিয়েছেন। বহুদিন ধরে হিমালয়ান ভূকম্পন কার্যকলাপ নিয়ে গবেষণা করা শঙ্করবাবু জানিয়েছেন, “নেপালের ভূমিকম্পে যতটা শক্তি নির্গত হয়েছে সেটাকে ‘হিমালয়ান রেঞ্জ’ এর সঙ্গে তুলনা করা যাবে না।” তাঁর কথায়. এটা মধ্যম মানের কম্পন ছিল। হিন্দুকুশ পর্বতের এলাকা থেকে অরুণাচল প্রদেশের শেষ পর্যন্ত ২৫০০ কিলোমিটার বিস্তৃত অঞ্চলে আরও ভয়াবহ কম্পন হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ৯ এর বেশি ছাড়িয়ে যেতে পারে। শঙ্করবাবুর কথায়, আমরা ভাগ্যবান যে শনিবারের কম্পনের মাত্রা ৭.৯ ছিল, তার বেশি নয়। তবে তাঁর মতো বহু ভূবিজ্ঞানী আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, হিমালয়ে ভূকম্প হলে তার বীভৎসতা সবকিছুকে ছাড়িয়ে যাবে।
‘ মহান হিমালয় ভূমিকম্প ‘ আসা বাকি আছে, জানিয়েছেন ভূবিজ্ঞানীরা
সোমবার,২৭/০৪/২০১৫
700