খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ প্রযুক্তির আসক্তি আদতে বড় বিড়ম্বনা! তার ওপর খ্যাতির বিড়ম্বনাও নেহাত কম নয়। সব মিলিয়েই মাসুলটা কড়ায়-গন্ডায় গুণলেন মার্কিন পপ-সম্রাজ্ঞী ম্যাডোনা।
খুলেই বরং বলা যাক! এক্কেবারে হালফিলের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক সিটির পাবলিক হল। মঞ্চে অভিনীত হচ্ছে ‘হ্যামিলটন’। দর্শকাসনে অনেক নামীদামী ব্যক্তিত্বদের মাঝে বসে ছিলেন ম্যাডোনা। তবে সে নাটক গায়িকা দেখলে তো! বরং মঞ্চের নীচেই এক নাটক ঘটিয়ে ফেললেন তিনি! নাটক চলছিল নাটকের মতো, গায়িকার আঙুল ঘুরছিল অন্য খানে। তাঁর যাবতীয় মনোযোগ তখন ছিল টুইট করায়। এক বার নয়, দু’বার নয়, প্রায় সমস্ত সময় ধরেই ‘পাপা ডোন্ট প্রিচ’-এর গায়িকা ব্যস্ত ছিলেন এই কাজে। শেষমেশ পাশের এক বিরক্ত দর্শকের কথায় টুইট করা বন্ধ করেন শিল্পী।
তা, নাট্যসংস্থার যখন কানে কথাটা গেল, তখন কী করলেন তাঁরা? হ্যামিলটন-এর লেখক-প্রস্তুতকারক লিন-ম্যানুয়েল মিরান্ডা নাম না করেই এই ঘটনার সমালোচনা করেন। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মিরান্ডা মঞ্চ পরিচালন কর্তৃপক্ষকেও অনুরোধ করেছেন সাধারণ দর্শকদের সঙ্গে সেলিব্রিটিদের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে। শো চলাকালীন যেন কেউই এমন ভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার না করেন। সংবাদমাধ্যমকেও মিরান্ডা জানিয়েছেন, এই প্রথম তিনি এমন অনুরোধ করেছেন।
তার পর আর কী! বিশ্ব জুড়ে এখন যে যা পারছেন, বলে চলেছেন ম্যাডোনাকে নিয়ে। নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ঘটনার উল্লেখ করে কটূক্তিও করেছেন ফিল্ম সমালোচক চার্লস টেলর।
সত্যিই তো! গায়িকা নিজেও তো শিল্পী। তাঁর পারফরম্যান্সের সময় এমন হলে কী করতেন ‘লাইক আ ভার্জিন’?