খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ পোল্যান্ডের আউশভিৎস বন্দি শিবিরে মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক ৯৩ বছর বয়সী সাবেক এক রক্ষীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
বুধবার দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, ১৯৪৪ সালের গ্রীষ্মে ওই শিবিরটিতে তিন লাখ হাঙ্গেরীয় ইহুদিকে হত্যা করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জার্মানির লুনেবুর্গ শহরের একটি আদালতে মঙ্গলবার তার বিচার শুরু হয়েছে।
ওই ঘটনার ৭১ বছর পরে আউশভিৎস বন্দি শিবিরের যে কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ সাবেক রক্ষী জীবিত আছেন ৯৩ বছর বয়সী অস্কার গ্রোনিঙ্গ তাদের অন্যতম।
জার্মানির নাৎসি পার্টির অভিজাত আধাসামরিক বাহিনী এসএস’র সদস্য হিসেবে ১৯৪২ সাল থেকে ১৯৪৪ পর্যন্ত আউশভিৎস বন্দি শিবিরে রক্ষীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
গণহত্যার ওই অপরাধের সঙ্গে জড়িত জীবিতদের মধ্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় একমাত্র গ্রোনিঙ্গকে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার মতো উপযুক্ত বলে রায় দেয়া হয়েছে। মৃত্যু হওয়ার আগেই তার বিচার সম্পন্ন করার আশা করছে জার্মান কর্তৃপক্ষ।
গ্রোনিঙ্গ আদালতে তার “নীতিগত অপরাধ” স্বীকার করেছেন। আদালতে তিনি তার সহকর্মীদের নিষ্ঠুরতা ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়েছেন। এসবের মধ্যে একটি বাচ্চা শিশুকে আছড়ে মারার ঘটনাও আছে।
তবে মানবতাবিরোধী এসব অপরাধের ঘটনা ঘটলেও নিজে এসবে জড়িত ছিলেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।
কিন্তু আদালতে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত দুই বয়োবৃদ্ধ নারী, যারা আউশভিৎস শিবিরে বন্দি ছিলেন, তারা অস্কারের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তাদের ধারণা, শুধু নীতিগতভাবে নয়, লাখ লাখ মানুষ খুনের ঘটনায় গ্রোনিঙ্গ সরাসরি জড়িত।
আদালতে অস্কার জানিয়েছেন, তিনি “র্যাম্প” নামে পরিচিত বন্দিশালার রক্ষী ছিলেন। এখান থেকে বন্দিদের বাছাই করে হয় শ্রমশিবিরে পাঠানো হতো নয়তো গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়ে হত্যা করা হত।
তাকে “আউশভিৎস বন্দি শিবিরের সম্ভাব্য শেষ রক্ষী যাকে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে” বলে বিবেচনা করছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
স্ত্রীহারা দুর্বল ও বয়োবৃদ্ধ গ্রোনিঙ্গ দুজন আর্দালি ও জিমার ফ্রেমের সহায়তা নিয়ে আদালতে উপস্থিত হন। এ কাজ করতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়।