আত্নহত্যা করলেন চিকিৎসক, সমকামী স্বামীর অত্যাচারে


সোমবার,২০/০৪/২০১৫
484

 খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ       দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকার হোটেলের ঘরে হাতে শিরা কেটে আত্মহত্যা করলেন ৩১ বছর বয়সী চিকিৎসক প্রিয়া বেদী। অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর চিকিৎসক ছিলেন প্রিয়া। চার পাতার একটি সুইসাইড নোট ও ফেসবুক পোস্টে প্রিয়ার দাবি, তাঁর স্বামী সমকামী ছিলেন। এবং পণের জন্য তাঁর উপর মানসিক অত্যাচার করতেন। প্রিয়ার সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীকে রবিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। [ বাংলা টেলি সিরিয়ালের অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু] ফেসবুকে পোস্ট অনুযায়ী প্রিয়ার কথায় পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবন তাদের, “আমাদের এখনও পর্যন্ত কোনও শারীরিক সম্পর্ক নেই, ওর ল্যাপটপে একটা ভুয়া জিমেইল অ্যাকাউন্ট দেখেছিলাম। যেখান থেকে ও নিজের সমকামী বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করত। এবং সেই চ্যাটগুলি আমাদের বিয়ের আগের।” [ সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন দিশা?] ওই নোটে আরও বলা হয়েছে, “আমার স্বামী সমকামী জানার পরও আমি একজন স্ত্রী হিসাবে ওর সঙ্গে থেকে ওকে সাহায্য করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ও আমার উপর মানসিক অত্যাচার শুরু করে। গত রাতে ও আমাকে মানসিকভাবে এতটাই অত্যাচার করে আমি ওর সঙ্গে এক ঘরে থেকে নিঃশ্বাস পর্যন্ত নিতে পারছিলাম না…তুমি মানুষ নয়, তুমি রাক্ষস, যে আমার থেকে আমার জীবনটাও কেড়ে নিল।” এইমস-এর সিনিয়র ডাক্তাক প্রিয়া, শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় হোটেলের ঘরে চেকইন করেন। পুলিশ সূত্রের খবর সেই একই সময়ে স্ত্রীয়ের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করে স্বামী, যিনি নিজেও এইমস-এরই এক চিকিৎসক। রবিবার পুলিশ হোটেলের ঘরে ঢুকে দেখে হাতেক শিরা কেটে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন প্রিয়া। পুলিশ এও জানিয়েছে, মারা যাওয়ার আগে হোটেলের ঘর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন প্রিয়া। প্রিয়ার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, দিনে পনেরো আগে সমস্যার কথা পরিবারকে জানিয়েছিলে প্রিয়া। শুক্রবার রাতে বলেছিলেন তাঁর জীবনের সমস্যা সমাধান হওয়ার নয়। তাঁর স্বামী জোর করে জোর ঘুমের ওষুধ খাওয়াতো তাকে। তবে প্রিয়ার অভিযুক্ত স্বামী পুলিশের কাছে স্বীকার করেন যে তাদের দুজনের মধ্য়ে একটা দুরত্ব তৈরি হয়েছিল ঠিকই কিন্তু অন্যান্য সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা। প্রিয়ার স্বামীর বিরুদ্ধে প্রিয়ার মা-বাবা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ ও সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামীকে। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৯৮এ (পণের চাহিদা) এবং ৩০৪বি (যৌতুকের কারণে মৃত্যু) এই দুই ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। স্বামী যে সমকামী এই বিষয়টি পরিবারকে বছর দুয়েক আগেই জানিয়েছিলেন প্রিয়া। এরপর প্রিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে তাঁর পরিবার। তবে প্রিয়া স্বামীর যৌন প্রাধান্য মেনেই তাঁর সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেই দিন থেকে শুরু হয় প্রিয়ার উপর অত্যাচার। শুক্রবার ফের বড়সড় ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। এর পরই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান প্রিয়া। সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়ার আগেই আত্মহননের পথ বেছে নেন প্রিয়া। শনিবার রাত ২ টো ৪৫ মিনিট নাগাদ ফেসবুকে শেষ পোস্টটি করেন প্রিয়া।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট