খায়রুল আনাম, বোলপুর, বীরভূমঃ বোলপুর মহকুমা উপ-সংশোধনাগারে বিচারাধীন এক বন্দির আত্নহত্যার চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে, উপ-সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। বেলা ১১টা নাগাদ উপ-সংশোধনাগারের মধ্যেই পরেশ বারকুনি নামে বিচারাধীন ওই বন্দি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন। ওই বন্দির বাড়ী নানুর থানার রানিবাজার গ্রামে। বধূ নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত তিনি। তিনি যখন গলায় দড়ির ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেন সেই সময় কারারক্ষীরা তা দেখে ফেলায় তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল সুপার অমিত মজুমদার জানিয়েছেন, পুলিশ আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরেশ বারকুনি নামে ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
উপ-সংশোধনাগারে বিচারাধীন এক বন্দির আত্নহত্যার চেষ্টার বিষয়টি বাইরে জানাজানি হতেই উপ-সংশোনাগারের বাইরে যেমন অনেক লোকজন চলে আসেন তেমনি বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেও মানুষের ভীড় জমে যায়। ওই বন্দির পরিবারের লোকজনদের কানে বিষয়টি পৌঁছালে তাঁরাও চলে আসেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বোলপুরের মহকুমা শাসক তথা বোলপুর মহকুমা উপ-সংশোধনাগার সুপার মলয় হালদার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতাল সুপারের সাথে কথা বলে বিচারাধীন বন্দির শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন এবং সেখানে একটি বৈঠকও করেন। তবে তিনি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
বন্দির আত্নহত্যার চেষ্টা
রবিবার,১৫/০৩/২০১৫
749