ময়নাতদন্তের কাজে নাবালককে ব্যবহার


মঙ্গলবার,০৩/০৩/২০১৫
687

খায়রুল আনাম, বোলপুর, বীরভূমঃ বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে যে সব মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে, সেইসব ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা করার সময় তাঁদের সহযোগিতা করার জন্য একজন সহায়ক থাকেন। যাকে সাধারণতঃ ‘ ডোম ‘ বলা হয়ে থাকে। বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ আসছেন অস্থায়ী কর্মী মহেন্দ্র ডোম। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁর বছর পনেরো বয়সী নাবালক ছেলে বিজয় ডোমকে দিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ এই কাজ করাচ্ছেন। এভাবে একজন নাবালককে দিয়ে মর্গে ময়নাতদন্তের কাজে চিকিৎসককে সহায়তা করার জন্য আইনগতভাবে রাখা যায় না । বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল  সুপার অমিত মজুমদার যুক্তি হিসেবে জানিয়েছেন যে, বাবা মহেন্দ্র ডোমের সাথে মর্গে ময়নাতদন্তের কাজের সময় তার ছেলে বিজয় উপস্থিত থেকে বাবাকে কাজে সহায়তা করতে করতে সেও ময়নাতদন্তের কাজ শিখে যাওয়ায় এবং তাঁদের কাজে বিকল্প কোনও ব্যক্তি না থাকায় তাঁরা বিজয়কে দিয়ে ওই কাজ করাতে বাধ্য হচ্ছেন। কিন্তু একজন নাবালককে দিয়ে যখন এই ধরনের কাজ করানোটা আইনবিরুদ্ধ তখন সে কাজ তাকে দিয়ে করাচ্ছেন কি ভাবে ? একথার কোনও সদুত্তর অবশ্য হাসপাতাল সুপার দিতে পারেন নি। তবে বোলপুরের মহকুমা শাসক মলয় হালদার জানিয়েছেন, এ রকম হয়ে থাকলে সেটি অত্যন্ত অন্যায় কাজ। আমি বিষয়টি সম্পকে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। জানা গিয়েছে, বাবার অসুস্থ থাকায় নাবালক ছেলে বিজয় ইতিমধ্যেই মর্গে আসা চারটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের কাজে চিকিৎসকের সহায়ক হিসেবে কাজ করেছে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট