ক্রিকেট মাঠে অঘটন


রবিবার,২২/০২/২০১৫
738

পূর্ণেন্দু চক্রবর্তীঃ তোরে ! ভাবতেও অবাক লাগে! এ ঘটনা হয় নাকি ? বিষ্ময়ে চোখদুটো ছানাবড়া। এমন অঘটন হয়ে থাকে মাঠে। আবার কীনা ক্রিকেট মাঠে। উইকেটের একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাটসম্যান। আর অপর প্রান্তে থেকে বল করতে ছুটে আসে বোলার। বোলার অবশ্যই চাইবেন রান না দিয়ে উইকেটটা ভেঙেদিতে। অন্যদিকে সাহসী ভূমিকায় ব্যাটসম্যান বুক চিতিয়ে খেলবেন। বোলারকে বোকা বানিয়ে রান করার চেষ্টায় বুক চিতিয়ে খেলবার প্রবণতায় ব্যাটসম্যান তখন প্রিয় দর্শকদের কাছে নয়ণের মণি হয়ে ওঠেন। ঐ অদ্ভুত পরিবেশের ব্যাটসম্যান না বোলার ‘ তারকা ‘ হয়ে উঠবেন, তা আগাম কেউই ভাবতে পারেন না। তাই ক্রিকেট যুদ্ধ সবসময় শিহরণ না হয় স্নায়ুর চাপ বলে ব্যাখ্যা করে হয়ে থাকে। বোলারের একটা বল থেকে সর্বাধিক কত রান হতে পারে ? এবিষয়ে হয়তো গবেষণা হতে পারে। অনেক জিজ্ঞাসা মণের কোনে উঁকি দেবে। এই ভাবনায় অনেক সময় নষ্ট হয়ে যাবে। তবে অঘটন একেই বলে। অনেক ভাবনাকে পিছনে ফেলে একজন ব্যাটসম্যান ক্রিকেট মাঠে অসাধারণ হয়ে উঠলেন। খবরের কাগজে তিনি শিরোনামে উঠে এলেন। পরিচিতি পেয়ে গেলেন রাতারাতি। সেই ক্রিকেটারের অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেল। গ্যালারির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের দর্শকদের ছোটাছুটি শুরু হয়ে গিয়েছিল ওই ক্রিকেটারের পরশ পেতে। খেলার পরের দিন ফলাও করে ছাপা হল, একটা বলে ব্যাটসম্যান চোদ্দ রান করেছেন। অবশ্যই এটা বৈধ বলে। বোলারাও হতবাক। মুষড়ে পড়লেন বোলার। তবুও, হাল ছেড়ে দিলেন না বোলার। একটা বলে চোদ্দ রান নেওয়ার কোনও নজির নেই একদিনের ক্রিকেটে। এই ঘটনাটা ঘটেছিল সেনচুরিয়ানের সুপারস্পোর্টস পার্কে। সত্যি, সেদিনের ক্রিকেট অঘটনের নায়ক হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যান রিলে রোসউড। খেলা তখন চলছিল ৩০ ওভারের। বল করতে ছুটে আসেন আন্ডারসেন। ওভারের চতুথ বলটি করেন তিনি। আমপায়ার ‘ নো ‘ বল বলে হাত তোলেন। ওই বলটি আণ্ডারসন ছক্কা মারেন। অর্থাৎ রান লেখা হয়ে গেল দলের পক্ষে। পরের বল এবারের ওয়াইড। বলটি নাকচ হয়ে যায়। তবে মোট রানের সংখ্যায় আরও একটা রান সংযোজন হয়। অবশেষে বৈধ বলে রিলে রোসউড একটা ছক্কা হাঁকেন। সেই ম্যাচে রোসউড আঠাশ করার সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতে যায়। একেই বলে ক্রিকেট মাঠে অঘটন ! সৌজন্যঃ দৈনিক স্টেটসম্যান।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট