অর্ণব মিশ্র, পূর্বমেদিনীপুরঃ তুষারপাত বা বরফ দেখতে আর দার্জিলিং – সিকিম কিংবা সিমলা ছুটতে হবে না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এবার পাহাড়ের পরিবর্তে বরফবৃষ্টির দেখা মিলবে সমুদ্রতটে ! তাও আবার কলকাতার খুব কাছেই। দিঘার সমুদ্রসৈকতেই দেখা যাবে তুষারপাত, এমনকি ইগলুও। নিউ দিঘাতেই এমন অভিনব স্নো – পার্ক গড়ে তুলছে রাজ্য সরকারে নগরোন্নয়ন দফতর। রাজ্য নগরোন্নয়ন দফতর এবং দিঘা – শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক মুখপাত্র বলছেন, ‘ বিদেশের অনেক দেশ ছাড়াও হারদরাবাদে স্নো – পার্ক রয়েছে। নিউ দিঘাতে এমনই একটি স্নো – পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। ঝাউবনে কাছে দিঘা – শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক একর জমিতেই গড়ে তোলা হচ্ছে এই তুষার পার্ক ‘। তিনি আরও জানালেন, এই ব্যাপারে উৎসাহী সংস্থার কাছে টেন্ডার আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক পর্যায়ের নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে। পর্যটকদের টানতে সমস্ত সম্ভাবনা থাকা সত্বেও দিঘা পর্যটন কেন্দ্রের পরিকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। বাম আমলে উপেক্ষিত দিঘার পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজাতে তৃণমূল সরকার গুচ্ছের উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতিমধ্যেই দিঘা সমুদ্রতটকে সাজিয়ে তোলার কাজও শুরু হয়েছে। সমুদ্রসৈকতে প্রবেশপথে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে অপূর্ব সাজের তোরণ। হয়েছে ঝকঝকে আলোর ব্যবস্থা। এবার নতুন সরকারের নবতম সংযোজন ‘ স্নো – পার্ক ‘। নগরোন্নয়ন দফতর নীল – নকশা অনুযায়ী, নিউ দিঘার ঝাউবন সংলগ্ন এক একর এলাকা নিয়ে গড়ে উঠছে স্নো – পার্ক । ইনডোর এই পার্কে ঢুকে পর্যটকরা ভরা গ্রীষ্মেও অনুভব করতে পারবেন শীতের অনুভূতি। মনে করতে পারবে যে তাঁরা যেন দাঁড়িয়ে আছেন দার্জিলিং , গ্যাংটক কিংবা সিমলার তুষারের উপর। মনে হতেই পারে যে পর্যটকরা কোনও সমুদ্রসৈকতে নয়, ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাইনাস এক ডিগ্রিরও কম তাপমান এলাকায়। যে দিকে নজর যাবে, দেখা যাবে শুধু সাদা তুলোর মতো বরফ। তুষারে মোড়া পার্কে বসেই গরম পেয়ালা হাতে চা – কফি পান করা যাবে। তবে, অবশ্যই বরফের চেয়ারে বসে, বরফের টেবিলে থাকবে চা – কফির পেয়ালা। চমকের এখানেই শেষ নয়, বরফের চেয়ারে বসেই দেখা যাবে স্কেটিং করতে। কড়ি ফেললেই আইস স্কেটিং করতে পারা যাবে। শিশুদের মনোরঞ্জনে তৈরী হবে ইগলু বা বরফের বাড়ি। চাইলে এই বরফের বাড়িতে কাটিয়ে দেওয়া যাবে ঘন্টার পর ঘন্টা। সব মিলিয়ে দার্জিলিং – গ্যাংটক – সিমলার মজা লুটে নেওয়ার সমস্ত রসদই মজুত থাকছে নিউ দিঘার এই বরফের পাহাড়ে……….
দিঘা হতে চলেছে দ্বিতীয় দার্জিলিং
শুক্রবার,১৩/০২/২০১৫
1239