খায়রুল আনাম, বোলপুর, বীরভূমঃ পাঁড়ুইয়ের সাত্তোরের গৃহবধূকে তাঁর বাপের বাড়ী বর্ধমান জেলার বুদবুদ থানার কলমডাঙা গ্রাম থেকে তুলে এনে পুলিশি অত্যাচারে ঘটনা নিয়ে যে তোলপাড় অবস্থা তা রাজ্য ছাড়িয়ে দেশে ও বিদেশেও পুলিশের ভূমিকায় নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আর এই পুলিশি অত্যাচারের ঘটনায় সাসপেণ্ড করা হয়েছে জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের প্রধান কার্ত্তিকমোহন ঘোষকে। শো- কজ করা হয়েছে বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে। এই শো- কজের তালিকায় রয়েছেন বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অম্লানকুসুম ঘোষ। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে যে, সাত্তোরের গৃহবধূ হাইতুন্নেশা বিবিকে তাঁর বাপের বাড়ী থেকে তুলে আনার ক্ষেত্রে পাঁড়ুই থানার দুই মহিলা কনেস্টবলের নাকি বিশেষ ভূমিকা ছিল। এঁদের মধ্যে এক মহিলা কনেস্টবল কার্ত্তিকমোহন ঘোষকে তাঁর বিভিন্ন অপারেশনে বিশেষভাবে সহযোগিতা করে থাকেন। ওই মহিলা কনেস্টবলের বাড়ীও কলমডাঙা গ্রামে। এবং জানা যায়, ওই মহিলা কনেস্টবলের পরিবারের সাথে নির্যাতিতা গৃহবধূ হাইতুন্নেশা বিবির বাপের বাড়ীর সাথে গ্রাম্যবিবাদ দীর্ঘদিনের। তিনিই নাকি এক আসামী খোঁজার ব্যাপারে পুলিশকে ব্যবহার করার কাজটি করেন। তিনিই নাকি জানান, হাইতুন্নেশা বিবির ওই আত্নীয় কলমডাঙা গ্রামে লুকিয়ে রয়েছে। আর সেই খবরের ভিত্তিতেই পুলিশ কলমডাঙা গ্রামে যায় সেই আসামীর খোঁজে। সেখানে তাঁর সন্ধান না পেয়েই তাঁর কাকীমা হাইতুন্নেশা বিবিকে পুলিশ তুলে নিয়ে এসে নির্মম অত্যাচার করে। ওই মহিলা কনেস্টবল তাঁদের গ্রাম্যবিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে যে বিরোধ রয়েছে তাতে পুলিশকে ব্যবহার করে নিজেদের ‘ আক্রোশ’ মিটিয়ে নিতে চেয়েছিল বলেই পুলিশেরই একাংশ মনে করে। ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হওয়ার পরে, ওই মহিলা কনেস্টবলের ‘ ভূমিকা’ বা ‘ উদ্দেশ্য’ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়ায়, জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এনিয়ে ‘ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের’ কথাও ওঠে। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এবিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করায় এবং শুনানীর সময় প্রধান বিচারপতি জেলা পুলিশের ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করায়, পুলিশ ওই মহিলা কনেস্টবলের বিষয়টি নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করেনি।
সাত্তোরের গৃহবধূ নির্যাতন মহিলা কনেস্টবলের ভূমিকা কি ?
মঙ্গলবার,১০/০২/২০১৫
668