বর্ধমানে ডাক্তার দেখে চিকিৎসা করান এবং আয়কর দপ্তর নজর দিন


বুধবার,০৪/০২/২০১৫
841

মোল্লা জসিমউদ্দিন, বর্ধমানঃ ‘ ডাক্তার মানে মানুষ নয়, আমাদের কাছে ভগবান। কষাই আর ডাক্তার তো একই নয়। কিন্তু দুটিই প্রফেশন। কষাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে ওদের আছে ক্লিনিক ও চেম্বার।’ জীবনমুখী গায়ক নচিকেতার এই গান চরম বাস্তব সদর বর্ধমান শহরের খোশবাগানের ডাক্তার পল্লিতে। এত খ্যাত – বিখ্যাত ডাক্তার বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকটি শহরে রয়েছে। বর্ধমান তাদের মধ্যে অন্যতম। শুধু বর্ধমান জেলা নয় দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ রোগের চিকিৎসা করাতে বর্ধমান শহরে আসেন। তাই সীতাভোগ – মিহিদানার সাথে ডাক্তার বিখ্যাত হয়ে উঠেছে বর্ধমানে । খোশবাগানে প্রায় পাঁচশোর কাছাকাছি ডাক্তার তাঁদের ‘ স্বাস্থ্য ব্যবসা’ চালান। এদের মধ্যে শতকরা দশভাগ চিকিৎসা ঠিকমত করতে জানেন বলে জানা গেছে। ভূয়ো ডিগ্রি ধারী ডাক্তার বাবুদের শরীরিভাষা, টিপটপ চেম্বার দেখে আর্থিক শোষনের শিকার হয় রোগীদের বড় অংশ। ভূল চিকিৎসা হামেশাই ঘটে। সম্প্রতি এক রোগীর এইচ আইভি ( এডশ) রোগ হয়েছে বলে স্বানামখ্যাত এক চিকিৎসক রিপোর্ট দেন। সেই রোগীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সামাজিক বয়কট এমনকি তার বিবাহ ভেঙ্গে যায়। পরবর্তী সময়ে কলকাতার সরকারী হাসপাতাল বিভিন্ন পরীক্ষা – নিরীক্ষা করে জানায় এডশ নয় তার ম্যালেরিয়া হয়েছে ! খোশবাগানের অলিগলিতে রয়েছে ডাক্তার বাবুদের নাসিংহোম। ক্লিনিকে বিভিন্ন টেষ্ট করানোর পর রোগীকে নাসিংহোমে ভর্তি করানো হয় অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীক কারণে। বেশিরভাগ নাসিংহোম রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মানে না। স্থানীয় রাজনৈতিক দাদা, পুলিশ, প্রশাসন কে মোটা অংকের মান্থলী দিয়ে চলে এই কারবার। সিন্ডিকেট পর্যায়ে চলে রোগীদের নিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবসা। পার্টি (রোগী) ধরে আনে দালাল। ডাক্তার ফি, বিভিন্ন টেষ্ট, ওষুধ দোকানে চড়া দামের ওষুধ, তারপর নাসিংহোমে ভর্তি হলে জমি – জায়গা বিক্রি করা উপক্রম। ডাক্তার বাবু এমন ওষুধ লিখবেন যে নিদিষ্ট দোকান ছাড়া পাওয়া যাবেনা। ডাক্তার বাবুরা ফি নিয়ে থাকেন নিজের মনের মত। রোগীদের ভীড় বাড়লে শেয়ার বাজারের মত অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। কেউ নেন একশো, তবে বেশির ভাগই নূন্যতম তিনশো থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। ফি এর রশিদ রোগীরা যেমন নেয় না, ডাক্তার বাবুরাও রশিদ দিতে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেন না। এমন কিছু ডাক্তার আছেন অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন চলাকালীন ফেসবুকে চ্যাট করে থাকেন। প্যাথোলজি সেন্টারে কিছু ক্ষেত্রে গোপন ক্যামেরা রেখে ছবি তোলা হয়ে থাকে। পাঠক বর্গ এই অভিযোগগুলি রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়লেও সালিশিতে তা মেটানো হয়।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট