সমাজের মিডিয়ার ভূমিকা


মঙ্গলবার,০৩/০২/২০১৫
600

আজকের দিনে সংবাদ মাধ্যমের শক্তি কোন পর্যায়ে পৌঁচেছে আমরা বোধহয় তা ধারণাও করতে পারি না, তবে কোনো কোনও সময় হয়তো সেটা টের পাই তার চূড়ান্ত দায়িত্বহীন অপদার্থতা দেখে। কিন্তু এই মিডিয়াই কি পারে না গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে দেশ তথা দেশবাসীকে নতুন দিশা দেখাতে ? উত্তর খুঁজছেন সেখ কুতুবউদ্দিন।

সংবাদ মাধ্যমের চরিত্র আজ অনেকটাই বদলে গেছে। এক সময় তারা ক্ষমতাবান শ্রেণীর উপর নজরদারি চালাত। তারপর ধীরে ধীরে তারা হয়ে ওঠে সেই শ্রেণীর অনুগত, আর এখন দেখা যাচ্ছে এরা তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার খেলায় মেতেছে।
আজকাল মিডিয়া খবরের থেকে সেনসেশন বা চাঞ্চল্যকর ঘটনা পরিবেশনের দিকে বেশি ঝুঁকছে। সবটাই এখন হাইপ সৃষ্টির খেলা। সকলেই টিআরপি আর সার্কুলেশন বাড়ানোর ইঁদুর দৌড়ে শামিল।
অথচ দেশে অনাময় ব্যবস্থার অভাবে কত মানুষ যে ডায়ারিয়ায় মারা যাচ্ছে, কত শিশু অপুষ্ঠিতে ভুগছে – এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে মিডিয়ার মাথাব্যাথা নেই। আমাদের দারিদ্র, ক্ষুধা, অপুষ্টি, অনাহার, অশিক্ষা ইত্যাদির মতো অদৃশ্য অথচ চিরস্থায়ী বিপর্যয়গুলি মিডিয়ার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, এগুলি সম্পকে, এগুলির প্রতিকার সম্পকে কোন অনুষ্ঠান আলাপ – আলোচনা কি তারা পরিবেশন করতে পারে না ? গড়ে তুলতে পারে না এর বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ ?
আজ আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করি, যোগাযোগ রক্ষা করি। ফেসবুক, টুইটার, গুগল – এসবের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন সহজ ও দ্রুত উঠেছে, বিভিন্ন বিষয়ে সারা পৃথিবীর তথ্য ভান্ডার এসে গেছে আমাদের হাতের মুঠোয়। বিদ্যুৎ বেগে একজনের ভাবনা পৃথিবীর আর এক প্রান্তের আর এক মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে । এর প্রতিক্রিয়া বা প্রভাব যে কী হতে পারে তা এই মুহুতে অনুমান করা খুবই কঠিন ব্যাপার। আমার মনে হয় এ যুগের এই অসামান্য ক্ষমতাশালী মিডিয়ার এবার এক নতুন ভূমিকায় নামা উচিত। টিআরপি আর সেনসেশনালিজমের খেলা অনেক হল, এবার দেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিকাশ ঘটানোর জন্য মিডিয়া অনুঘটকের ভূমিকা পালন করুক। তারা দেশ গঠনের গুরুত্বপূণ বিষয়গুলি সম্পকে সাধারণ মানুষের মতামত নিক আর তা পৌঁছে দিক, যা পৌঁছায় তা খুব কম। মিডিয়া যদি এই নীতি প্রনেতা ও দেশবাসীর মধ্যে অনুঘটক এবং সেই সঙ্গে দায়িত্বশীল প্রহরীর ভূমিকা পালন করে তাহলে আর লোকপাল বিলের কোনও প্রয়োজন হবে না।
ভালো এবং গঠনমূলক খবরকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। দেশে যা হচ্ছে তা সবই মন্দ বা নেতিবাচক। তা তো হতে পারে না। তাই যেখানে যতটুকু আশাব্যঞ্জক, প্রশংসানীয় তাকে তুলে ধরার জন্য সংবাদ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট