বুধবার দাঁড়ি পড়ল ২০১৪ সালের শেয়ার লেনদেনে। ২০০৯ সাল থেকে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়ে বছর শেষ করল দুই সূচক সেনসেক্স, নিফ্টি। বাজারে শেয়ার-মূল্য বাড়ার হাত ধরে বিনিয়োগকারীদের ঘরে এল আরও ২৮ লক্ষ কোটি টাকা।
ডলারের তুলনায় ভারতীয় টাকাও এ দিন ৩৫ পয়সা বেড়েছে। দিনের শেষে তা বন্ধ হয়েছে ৬৩.০৩ টাকায়। চাঙ্গা বাজার ও রফতানিকারীদের ডলার বিক্রির হাত ধরে এ দিন টাকার দাম বেড়েছে। তবে সারা বছরের হিসাবে ডলারে টাকার দাম পড়েছে ১২৩ পয়সা বা ১.৯৯%। ২০১৩-র শেষে ডলারে টাকার দর ছিল বেশি। এক ডলার ছিল ৬১.৮০ টাকা। এই নিয়ে টানা চার বছর পড়ল টাকা।
এ দিন সেনসেক্স ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭,৪৯৯.৪২ পয়েন্টে। নিফ্টি ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে ছুঁয়েছে ৮,২৮২.৭০ পয়েন্ট। যে সমস্ত কারণে ২০১৪ সালে লগ্নিকারীদের খুশির খবর দিল শেয়ার বাজার, তার একটি খতিয়ান দিয়েছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। যার মধ্যে রয়েছে:
• কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে মোদী সরকারের ক্ষমতায় আসা
• আর্থিক সংস্কার দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি
• ভারতের বাজারে বিদেশি আর্থিক সংস্থার ভাল লগ্নি
• বৃদ্ধির হার বাড়ার আশা
• উন্নত দুনিয়ায় মন্দার প্রকোপ কমে আসা
• বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ২০০৮-এর পর সর্বাধিক কমা
বুধবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রায় সব ক’টি ক্ষেত্রের সূচকই আলাদা আলাদা ভাবে বেড়েছে। এ রনের মোট ১২টি সূচকের মধ্যে উঠেছে ১১টি, যার মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ, আবাসন, ভোগ্যপণ্য, ওষুধ, তেল ও গ্যাস সংস্থার শেয়ার। তবে উৎপাদন শুল্কে ছাড় উঠে যাওয়ার খবরে এ দিন পড়েছে গাড়ি শিল্পের শেয়ার।
নতুন বছরেও শেয়ার বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী বিশেষজ্ঞরা। এ দিন কোটাক সিকিউরিটিজ-এর সিইও কমলেশ রাও বলেন, “ভারতের বাজার এই মুহূর্তে অত্যন্ত লাভজনক। আর, সেই কারণেই লগ্নিকারীদের এই বাজার অন্যতম পছন্দের। আগামী বছরেও এই প্রবণতা চলবে বলেই আমার আশা।”
সেবি-র নয়া বিধি। যে-সব মিউচুয়াল ফান্ডের নিট সম্পদ এখনও ৫০ কোটি টাকার নীচে, তারা বছরে সর্বোচ্চ দু’টি করে নতুন প্রকল্প আনতে পারবে। এ ব্যাপারে নয়া বিধি ঘোষণা করেছে সেবি। তবে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা করে প্রতিটি প্রকল্প খতিয়ে দেখা দেওয়া হবে। গত ফেব্রুয়ারিতেই মিউচুয়াল ফান্ড সংস্থার ন্যূনতম নিট সম্পদ ১০ থেকে বাড়িয়ে আগামী তিন বছরের মধ্যে ৫০ কোটি টাকায় নিয়ে যেতে বলেছে সেবি।