ইসলামাবাদঃ পেশোয়ারে সেনা স্কুলে হত্যালীলার নেপথ্যে যে জঙ্গি সংগঠন রয়েছে, তারা আরও বড় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এই হামলার অন্যতম মূল চক্রীর দাবি, সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাসংস্থা যদি জঙ্গি দমন সংক্রান্ত তাদের অভিযান এখনই বন্ধ না করে, তাহলে আরও বড় আক্রমণের জন্য যেন তারা তৈরি থাকে।
এদিকে, আজ আফগানিস্তানের নাজইয়ান জেলায় মার্কিন ড্রোন হামলায় আট জঙ্গির মৃত্যু হয় বলে খবর রয়েছে। সেই হামলায় নাকি পেশোয়ার হামলার মূল চক্রী ফজলুল্লারও মৃত্যু হয়েছে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় জল্পনা। তবে, এই ঘটনার সত্যতা এখনও স্বীকার করেনি পাক সরকার।আজ তেহরিক-ই-তালিবানের ওয়েবসাইটে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে সংগঠনের প্রতিনিধি উমর মনসুর জানায়, মূলত সেনাবাহিনীদের ওপর প্রতিশোধ নিতেই পেশোয়ারে এই হত্যালীলা চালানো হয়েছে। নিরাপত্তা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই উমর মনসুর বা খালিফা উমর বা উমর নারেই ছিল পেশোয়ার হামলার অন্যতম চক্রী। সে তেহরিক-ই-তালিবান সংগঠনের পেশোয়ার ও দারা আদামখেল এলাকার কম্যান্ডার। এদিকে তালিবান দমনে আরও জোরদার অভিযান শুরু করেছে পাক সেনা। গত ৩ দিনে পাক-আফগান সীমান্তে বিমান হানায় মৃত্যু হয়েছে ৬২জন তালিবান জঙ্গির। পাক সেনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা গিয়েছে ৫৭জন জঙ্গি। সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল রাহিল শরিফ। তালিবান দমন অভিযানের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে আজ খাইবার প্রদেশে যান তিনি। কথা বলেন স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের কম্যান্ডোদের সঙ্গে। পাকিস্তানের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেছে পাক সেনা।
Like this:
Like Loading...