পাকিস্তানের স্কুলে জঙ্গি হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলল আল কায়দা!


সোমবার,২২/১২/২০১৪
977

নয়াদিল্লি: এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম!

শিশুমেধের নিন্দায় সরব হল আল-কায়দা। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। পেশোয়ারের সেনা পরিচালিত স্কুলে তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি) পাকিস্তানের হামলাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে ব্যাখ্যা করল জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দা। রবিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ওই হত্যালীলার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আল কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্ট (একিউআইএস)। আল-কায়দার এই গোষ্ঠী ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

উর্দুতে লেখা ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনীর সেইসব প্রতিষ্ঠানে হামলা করা অনুচিত। কারণ, সেখানে সাধারণ মানুষ থাকেন, এধরনের হামলায় তাঁরা নিহত হন। তারা জানিয়েছে, এই হামলা একেবারে ইসলাম-বিরোধী। একইসঙ্গে স্কুলে হামলা করার জন্য টিটিপি-র সমালোচনাও করেছে আল-কায়দা। তারা বলেছে, এই ভুল ওদের করা উচিত হয়নি। শুধু তাই নয়, একিউআইএস নিজেদের এই হামলা থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে। আবার, পাক তালিবানের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য পাক প্রশাসনের তুলোধনাও করতে ছাড়েনি তারা।

তবে, এই দুঃখপ্রকাশকে নিজেদের পিঠ বাঁচানোর চেষ্টা বলে উল্লেখ করছে বিশেষজ্ঞ মহল, তারা জানিয়েছে, হামলা-পরবর্তী অধ্যায়ে এখন পাক প্রশাসন জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এখও পর্যন্ত কঠোরতম অবস্থান নেওয়ায় বিপাকে পড়েছে তালিবান, আল-কায়দা সহ সব জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি। হামলার প্রতিশোধ হিসেবে এখন পাল্টা আঘাত দিতে শুরু করেছে পাকিস্তান প্রশাসন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে চলেছ হামলা। গত কয়েকদিনে পাক সামরিক বাহিনীর পাল্টা হামলায় শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে ফাঁসি দেওয়া চলছে জেলে বন্দি থাকা জঙ্গিদের। ফলে, সবমিলিয়ে কানঠাসা অবস্থা পাকিস্তানের জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির। তাই এখন প্রত্যাঘাত এড়ানোর জন্য সমব্যথী হওয়ার ‘নাটক’ করছে তারা।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার পেশোয়ারের সেনা-পরিচালিত স্কুলে পাক তালিবানের নারকীয় হামলায় ১৩২ জন খুদে পড়ুয়া সমেত মারা যায় ১৪১ জন. এই হামলার পর অভ্যন্তরীণ চাপে পড়ে পাক সরকার। প্রশাসনের বিরু্দ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে. এরপরই, জঙ্গিদের খতম করার ডাক দেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট